আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

নিজের যন্ত্রণার কথা জানালেন কোহলি

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাণভোমরা বিরাট কোহলি। তিনি মাঠে না থাকলে সেই ম্যাচ শেষে আক্ষেপে পোড়েন ভক্তরা। কোহলির ব্যাটিং-ফিল্ডিং ও শারীরিক নানা অঙ্গভঙ্গি দেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ জুড়িয়ে যায়। ভারতের এই তারকা ব্যাটারের রেকর্ডগুলোও বেশ সমৃদ্ধ। তবে গত কয়েক বছর রানখরায় ভুগছিল তার ব্যাট। সেই সময় খুব ভেঙে পড়েছিলেন কোহলি। কোনো কিছুতেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছিলেন না। বারবার স্বরূপে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হতে পারছিলেন না কোহলি। কিন্তু কেন এমন হচ্ছিল তা ছিল সবারই অজানা। অবশেষে কোহলি জানালেন নিজের যন্ত্রণার কথা।
আইপিএল থেকে ঘটনার শুরু হয়। কারণ বছর দুয়েক আগে রাজস্থান রয়্যালসের (আরসিবি) অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। এরপর দলের দায়িত্ব দেয়া হয় ফাফ ডু প্লেসিকে। অধিনায়কত্ব শেষের সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতার বিষয়ে এতদিন পর মুখ খুললেন কোহলি। তিনি অপকটে জানালেন নিজের যন্ত্রণার কথা। কোহলি এই বিষয় বলেন, আমি সেই সময় ভেঙে পড়েছিলাম। কোনো কিছুতেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছিলাম না।
এদিকে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে আট বছর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন কোহলি। কিন্তু শত চেষ্টা করেও শিরোপা হাতে তুলতে পারেননি তিনি।
বেশ কয়েকবার খুব কাছে গিয়েও শিরোপায় ঠোঁট ছোঁয়াতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। কিন্তু একজন সফল ক্রিকেটার হিসেবে অধরা শিরোপার জন্য তার মনটা ছটফট করতে থাকে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অধিনায়কত্বের শেষের দিকে নিজের ওপর কোনো বিশ্বাস ছিল না। আমি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। কতটা যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে সেই সময়গুলো পার করেছি তা সবার অজানা। যাই হোক, আইপিএলে নতুন ক্রিকেটাররা এলো। তারা বেশ উত্তেজিত ও তাদের সবার নতুন ভাবনায় ডুবেছিল। আমি কিন্তু উত্তেজিত ছিলাম না। ওরা দলে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করল যে টানা তৃতীয় বছর আমরা প্লেঅফে পৌঁছে গেলাম। এখন প্রতিটি ম্যাচই আগের মতো উত্তেজনা নিয়ে শুরু করি।
এছাড়া কোহলির বেশ কটি রেকর্ড আছে, যা অন্য ক্রিকেটারদের ভাঙতে নাভিশ্বাস উঠে যাবে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে রান তাড়া করার সময় ২৬টি সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। এই রেকর্ডে তার ধারেকাছে কেউ নেই। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দ্রুততম ১০ হাজার রানও বিরাটের। ২০১৮ সালেই তিনি এই রেকর্ড গড়েন। শচিন টেন্ডুলকার ২৫৯ ইনিংসে ১০ হাজার রান করেন।
এমনকি সাদা পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি দ্বিশতক আছে কোহলির। তিনি টেস্টে এখন পর্যন্ত সাতটি দ্বিশতক করেছেন, প্রতিটিই অধিনায়ক হিসেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়