আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

নরেন্দ্র মোদির বিজয় রথ থামানো যাবে কি?

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভারতের তিনটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে ভোটের ফল দেশটির প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের জন্য কোনো আশা বা সম্ভাবনা দেখাতে পারেনি। ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে গত ২ মার্চ। ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে বিজেপি জোটেরই জয়জয়কার। মেঘালয়েও এনডিএর শরিক এনপিপির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে শাসক জোটেই থাকছে বিজেপি। ত্রিপুরায় এবার বিজেপির চেয়ে বামপন্থিরা ভোটে ভালো করবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি।
ঠিক এক বছর আগে উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, মণিপুর ও গোয়া- এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে ভোটের ফলাফলও বিজেপির পক্ষেই গেছে। কংগ্রেস সুবিধা করতে পারেনি। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিজেপি পাঁচ বছর ধরে ক্ষমতাসীন। পাঞ্জাবে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু গত বছর কংগ্রেসের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। সাধারণত ক্ষমতায় থাকা দলের জন্য নির্বাচনে জেতা কোনো কোনো সময় কিছুটা সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। ভোটের আগে যেসব প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়, ক্ষমতায় গিয়ে তা সম্পূর্ণ পূরণ করা সম্ভব না হলে অপ্রাপ্তিবোধজনিত রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, অভিমান ভোটের সময় নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা তৈরি করে। সে জন্যই সম্ভবত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন যে ক্ষমতায় থাকা চার রাজ্যে বিজেপির পক্ষে জয়লাভ সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করে চার রাজ্যেই আবার ক্ষমতায় ফেরার মতো জয় পেয়ে বিজেপি এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর জুটি ভাঙার মতো খুঁটির জোর অন্য কোনো দলের এখনো হয়নি। বরং বিজেপির সর্বভারতীয় প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী কংগ্রেসের অবস্থা আরো করুণ দশায় উপনীত হয়েছে। নানা কারণে ব্যাপক সমালোচিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য খারাপ বার্তাই পাওয়া গেছে।
অথচ ৮ বছর আগে দিল্লিতে জন্ম নেয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবে এক বছর আগের নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। পাঞ্জাবে ১১৭ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫৯টি আসনের দরকার হলেও কেজরিওয়ালের দল জিতেছে ৯২টি আসনে। কংগ্রেসের ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ১৮টি আসন। নির্বাচনে কংগ্রেস এবং পাঞ্জাবের আঞ্চলিক প্রভাবশালী দল শিরোমনি আকালি দলের অধিকাংশ স্টলওয়ার্ড নেতা হেরেছেন। কংগ্রেসের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিও জিততে পারেননি।
২০২৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আগে চলতি বছর শেষে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার ভোট ভারতের রাজনীতিকে গরম করে তুলবে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিজেপিবিরোধী জোট গঠনের বিষয়টি সামনে আসছে।
তবে দেশি-বিদেশি সব জরিপে মোদি এখনো সবার সেরা, সবার চেয়ে এগিয়ে। ৭০ শতাংশ ভারতীয়ের পছন্দের শীর্ষে তিনিই। তার মতো স্বপ্নের ফেরিওয়ালার সন্ধানও সমসাময়িক রাজনীতিতে নেই।
ভোটের রাজনীতিতে জোটের প্রভাব শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও কম নয়। ভারতের রাজনীতিতেও এখন জোটের ধারাই ক্রমে জোরদার হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে পুরনো দল কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। কংগ্রেস দলই ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ সময় ভারত শাসন করেছে। তবে এখন আর কংগ্রেসের সেই রমরমা অবস্থা নেই। গত ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলের বৈঠক থেকে কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে জোট গঠন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। বিজেপিকে হারানোর জন্য আদর্শগত মিল আছে এমন সমভাবাপন্ন দলের একটা জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস বলেছে, তৃতীয় কোনো জোট থাকলে তাতে ভোট ভাগাভাগি হবে এবং সেটা বিজেপির জন্য সুবিধা করে দেবে।
বিজেপিবিরোধী যে একটি জোটের কথা কংগ্রেস বলেছে সেই জোটের নেতৃত্বও দেবে কংগ্রেস এবং তা গঠিত হবে ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে ২০০৪ সালের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) ধাঁচে।
নিরবচ্ছিন্ন বিজেপি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে টেক্কা দেয়ার মতো কেউ নেই। কংগ্রেস কখনো কোনোভাবে বিজেপির সঙ্গে আপস করেনি। তবে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার মুখ সামনে আনা হবে, সে বিষয়টি কংগ্রেস খোলসা করে বলেনি। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদির বিকল্প কে তা স্পষ্ট নয়। যদিও জোটের নেতৃত্বদানের সেরা মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে সামনে রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি রাহুলের নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নতুন এক রাহুলের জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী ওই যাত্রার সাফল্য এতটাই যে পরবর্তী ভারত জোড়ো যাত্রার আগাম ঘোষণাও করা হয়েছে। পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ থেকে সেই যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে পশ্চিমের গুজরাটে। জুন নতুবা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এটা হবে।
২০০৩ সালে কংগ্রেসের সিমলা অধিবেশন থেকে জোটের ধারণা দিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী পরের বছর ইউপিএ জোটের মাধ্যমে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছিল ইউপিএ জোট। ২০ বছর আগে সোনিয়ার যে উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়েছিল, ২০ বছর পর সেই উদ্যোগ দলের বর্তমান সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দিয়ে সম্ভব কি না সে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে আছে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে খাড়গে তেমন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব নন।
২০২৪-এর নির্বাচনী লড়াইটা বিজেপি বনাম বিরোধী এক জোটের না হওয়ারই আশঙ্কা বেশি। তৃতীয় একটি জোটের উপস্থিতি থাকবে এবং সেক্ষেত্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ে মোদির নেতৃত্বে বিজেপির জয় হয়তো অনিবার্য হয়ে উঠবে।
দুটি কারণে ভারতে মোদিবিরোধী একটি মাত্র জোট হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রথম কারণ, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক অশ্রদ্ধা, দ্বিতীয় কারণ নীতিগত অবিশ্বাস। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস যতদিন পরিচালিত হয়েছে, পারস্পরিক অশ্রদ্ধার বিষয়টি ততদিন মাথাচাড়া দেয়নি। সোনিয়া সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। সোনিয়ার সময়ে প্রতিহিংসাপরায়ণতার নিদর্শন নেই বললেই চলে। দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের অসন্তোষ ভরা চিঠির পর প্রবল চাপ সত্ত্বেও সোনিয়া কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। তার আমলে ইউপিএ জোটও মজবুত ছিল। সোনিয়ার প্রতি অন্যরা এখনো শ্রদ্ধাবনত।
রাহুল গান্ধীর মানসিকতা মায়ের ঠিক বিপরীত। রাহুল কিছুটা একরোখা ও জেদি। রাজনীতিতে নমনীয়তা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাহুলের মধ্যে এর ঘাটতি রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। দল গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি নীতি ও আদর্শকে বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করেন, সবাইকে মানিয়ে চলা আপসেরই নামান্তর। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল তার কাম্য। এই ক্ষেত্রে প্রথম দিকের রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তার খুব মিল।
সম্ভবত এ কারণে কংগ্রেসের সর্বশেষ বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সর্বাত্মক করে তুলতে নীতি ও আদর্শগত ভিতের ওপর জোট গঠনে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জোট বা ঐক্য গঠনের জন্য যেসব বিরোধী নেতা-নেত্রীকে এক মঞ্চে আনা জরুরি, তাদের অধিকাংশের চেয়ে রাহুলের বয়সও কম। রাজ্য স্তরের নেতারা সবাই উচ্চাভিলাষী। তাদের এক ছাতার নিচে আনা কঠিন।
তাছাড়া এটাও কারো অজানা নয় যে মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের সভাপতি হলেও গান্ধী পরিবারের অমতে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। শারীরিকভাবে অসুস্থ সোনিয়া দৈনন্দিন ও প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার ইঙ্গিত তিনি নিজেই দিয়েছেন। ফলে সরাসরি না হলেও রাহুলই হয়ে উঠতে চলেছেন কংগ্রেসের প্রধান চালক। রাহুলকে জোটের নেতা হিসেবে মানতে যাদের আপত্তি এখনো তীব্র, সেই মহল তাই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে কতটা উৎসাহী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিজেপি বিরোধিতার যে মানদণ্ড রাহুল ঠিক করেছেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি ও জনতা দল (এস) পুরোপুরি বিজেপিবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত নয়। এই তিন দলের মতোই উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের এসপি ও মায়াবতীর বিএসপি, অন্ধ্র প্রদেশে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি বিজেপি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে ‘সমভাবাপন্ন’ দল কি না, সেই প্রশ্নও কংগ্রেসের মধ্যে আছে। ওডিশায় নবীন পট্টনায়ককে কেউ কখনো বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখেনি। কাজেই তারাও বাদ। এই দলগুলোর নেতা-নেত্রীরাও রাহুলকে জোটের নেতা হিসেবে মানতে প্রস্তুত নন।
২০১৯ সালে মোদিকে মোকাবিলায় যে কৌশল কংগ্রেস নিয়েছিল, ২০২৪ সালেও সেই একই কৌশল অনুসরণ করে সুফল পাওয়ার ব্যাপারে সংশয় আছে। সেবার কংগ্রেস হাতিয়ার করেছিল রাফালকে। ফ্রান্সের ওই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনাবেচার চুক্তিতে বিপুল অর্থ অপচয়ের অভিযোগের পাশাপাশি কংগ্রেস প্রচার করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) ক্ষতির কাহিনী। বলেছিল, পছন্দের শিল্পপতি অনিল আম্বানির ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য মোদি হ্যালকে বঞ্চিত করেছেন। পুরনো চুক্তি বাতিল করে বেশি টাকায় কম রাফাল কিনে দেশকে বিপদের মুখে ফেলেছেন।
রাহুলই ভারতজুড়ে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। দেশবাসী কিন্তু মোদিকে চোর ভাবেনি। বরং আরও শক্ত করে তাকে আঁকড়ে ধরেছিল। ৩০৩ আসন পেয়ে দ্বিতীয় দফার সরকার গড়েছিলেন মোদি। রাহুল বাধ্য হয়েছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে।
এবারো দুর্নীতি ও অনৈতিকতার সেই চিত্রনাট্য নতুন আঙ্গিকে সামনে আসছে। রাফালের স্থানে এসেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। হিনডেনবার্গ রিপোর্ট তার সাম্রাজ্যে ধস নামিয়েছে। বিজেপি ও সরকার মুখ বন্ধ করে বসে আছে। গোটা বিষয়টা ‘পশ্চিমা চক্রান্ত’ বলে জাতীয়তাবাদের ঢাল উঁচিয়ে বাঁচতে চাইছে মোদি সরকার।
একটি অভিযোগেরও জবাব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে শুধু বলেছেন, ‘ময়লা যত ছিটানো হবে, পদ্মফুল তত প্রস্ফুটিত হবে। ১৩০ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ আমার বর্ম।’
২০১৯ সালের মতো ২০২৪ সালেও যদি দুর্নীতির প্রচারণা ব্যাকফায়ার করে তাহলে মোদি-ম্যাজিকের মাহাত্ম্য নতুনভাবে চিত্রিত হবে। কিন্তু বিরোধীরা সফল হলে ৩৫ বছর পর তা হবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বফর্স বিতর্কে অমিতাভ বচ্চনকে আঘাত করে বিরোধীরা রাজীব গান্ধীর পতন ঘটিয়েছিল। মোদি-আদানি উপাখ্যানও অতপর তুলনীয় হবে তার সঙ্গে। তবে মোদি-বধের উপায় এখনো বিরোধীদের নাগালের বাইরেই আছে।

মোনায়েম সরকার : কলাম লেখক, মহাপরিচালক; বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়