শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

সাংবাদিকদের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী : তিস্তায় ‘খাল খনন’ নিয়ে দিল্লিকে চিঠি দেবে ঢাকা

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খননের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি পানি নিয়ে বহুপক্ষীয় অংশীজনের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ থেকে আরো দুটি খাল খননের বিষয়ে ভারতের পত্রিকার সংবাদ আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠাব। আজই (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত চিঠিতে আমি সই করব। পরে সেই চিঠি পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা থেকে পানি প্রত্যাহার পরিকল্পনার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাংলাদেশে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটা আমাদের নজরে এসেছে। কিন্তু আমরা অফিসিয়ালি ভারতের কাছ থেকে জানতে পারিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যটি সত্য কিনা, তা জানার পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বাংলাদেশ। এ কারণে ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য পাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করব না।
যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে সেটা

উদ্বেগের কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ ফারুক বলেন, অবশ্যই উদ্বেগের বিষয় হবে। কিন্তু আমরা সব সময় আমাদের বন্ধুভাবাপন্ন রাষ্ট্র হিসেবে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার নীতিতে চলি। সেটা যদি না হয়, তাহলে আমাদের তো অপশন (বিকল্প) আছে। তবে সেটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) বলব না। তিনি আরো বলেন, ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তুতিও চলছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ভারতীয় পক্ষকে বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবে তারা মৌখিকভাবে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক দিন-তারিখ নির্ধারণ হলে আপনারা জানতে পারবেন।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের দুটি পথ- টেকনিক্যাল আলোচনা ও রাজনৈতিক আলোচনা। আমার মতে এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ রাজনৈতিক আলোচনা। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টেকনিক্যাল আলোচনার বিষয়ে জোর দেয়া হয়। এভাবে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান বজায় রাখতে পারবে না।
গত ৪ মার্চ ভারতীয় গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খননে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার আরো কৃষিজমিকে সেচের আওতায় আনতে পশ্চিমবঙ্গ এ উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে তিস্তাকেন্দ্রিক পানি সংকট আরো বেড়ে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি এক দশকের বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে- তারা তিস্তা চুক্তি করতে রাজি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আপত্তির কারণে হচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের ইশারা ছাড়া কোনো রাজ্য সরকার বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক চুক্তির বিষয়ে বাধা দেবে, এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়