শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

শিল্পপতির কোমরে দড়ি : এসআই অরুন কান্তি বিশ্বাসকে এসপির কৈফিয়ত তলব

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে : সীমা গ্রুপের পরিচালক মো. পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে তোলার ঘটনায় শিল্প পুলিশের এসআই অরুন কান্তি বিশ্বাসের কৈফিয়ত তলব করেছেন শিল্প পুলিশ-৩ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার।
বুধবার এক লিখিত আদেশে অরুন কান্তি বিশ্বাসকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে সন্তোষজনক লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি এলাকা থেকে শিল্প পুলিশের একটি দল সীমা গ্রুপের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্ফোরণে নিহত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সান্টু ওই মামলার ২ নম্বর আসামি ও সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের একজন পরিচালক। এ মামলায় তার আরো দুই ভাইকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ দুপুরে গ্রেপ্তার মো. পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে তোলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যা রীতিমতো টক অব দ্যা চট্টগ্রামে পরিণত হয়। একজন শিল্পপতিকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে তোলার ঘটনাকে শিল্প পুলিশের ন্যাক্কারজনক আচরণ বলেও অভিহিত করেন অনেকে। এমনকি বিষয়টিকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা বলেও দাবি করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ছবিটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নজরে আনা হলে তিনি শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। পরে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা এসআই অরুন কান্তি বিশ্বাসকে কৈফিয়ত তলব করেন এসপি।কৈফিয়ত তলবপত্রে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ তারিখে আসামি মো. পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার সময় এসআই অরুন কান্তি বিশ্বাস নিজের খেয়াল খুশিমত আসামির কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিয়ে যান। যা জনসম্মুখে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। সুশৃঙ্খল বাহিনীর একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অফিসার হয়েও এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নিয়মশৃঙ্খলা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকার পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে নিজের খেয়াল খুশিমত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এমন কর্মকাণ্ড কর্তব্যে অবহেলা, গাফিলতি, অদক্ষতা ও কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি।
এ অপরাধের কারণে পিআরবি ৮৬১ অনুসারে বিভাগীয় মামলা রজু করে ৮৫৭ বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড কেন দেয়া হবে না, তার সন্তোষজনক জবাব কৈফিয়ত তলবনামা পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। একইসঙ্গে শুনানিতে হাজির হয়ে মৌখিক জবাব দিতে ইচ্ছুক কিনা তাও তলবের লিখিত জবাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়