শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

মে মাসে জেআরসির বৈঠকে আগ্রহী ঢাকা : দ্রুত ভেরিফিকেশন শেষ করতে মিয়ানমারকে তাগাদা

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এক যুগ পর ২০২২ সালে দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জয়েন্ট রিভার কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক হয়েছে। এ বছর মে মাসে ঢাকায় জেআরসির বৈঠক করতে চায় সরকার। এ জন্য ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের ওয়াটার সামিট উপলক্ষে আয়োজিত এক মাল্টি-স্টেকহোল্ডার বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, ঢাকায় জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠকের জন্য ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে চিঠি পাঠিয়ে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের মন্ত্রীও আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কলকাতায় জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য একটি অনুষ্ঠানে। কলকাতা শুনে আমি নিজেই আগ্রহী হয়েছি। কারণ ওই জায়গাটি আলোচনার জন্য ভালো। তাদের স্থানীয় যারা পানি নিয়ে চিন্তা করেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের মতবাদ আছে। সেখানে গেলে তাদের মতামত জানতে পারব। তাদের আমি নদীর সমস্যার কথা জানিয়েছি এবং তারা বলেছে, আঞ্চলিকভাবে এটি না করা হলে এর সমাধান করা যাবে না। আমরাও মনে করি, কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিক এবং কিছু ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হওয়া উচিত।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে খাল খনন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে আরো দুটি খাল খননের বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টাও চলছে। ঢাকার পক্ষ থেকে নয়া দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, তিস্তা সংক্রান্ত খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খাল খননের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং আলোচনা করছে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। খবরটির সত্যতা যাচাই করছি।
সেহেলী সাবরীন বলেন, তিস্তা নদীর পানির ওপর বাংলাদেশের বৃহৎ জনগণের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে। সে কারণে অনেক বছর ধরে আমরা তিস্তা নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান যে চমৎকার সম্পর্ক, সেটি বিবেচনায় রেখে আমরা আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমরা আশা রাখছি, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যাটির সমাধানে যাব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, এটা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং যৌথ নদী কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রস্তাব বা পেপার ঠিক করে তারপর ভারতীয় পক্ষের কাছে জানতে চাইব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেব নেব। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান। আমরা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ভেরিফিকেশনের জন্য মিয়ানমারকে তাগাদা দিয়ে আসছি।
সম্প্রতি মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরও করেছে। ভেরিফিকেশনের জন্য ৪২৯ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বলেও জানান সেহেলী সাবরীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়