কাগজ প্রতিবেদক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম জানিয়েছেন, হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৮ হাজার থেকে কমানোর কোনো সুযোগ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। গত বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হজের বিমান ভাড়া দেড় লাখ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে বিষয়টিকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেন বিমানের এমডি।
শফিউল আজিম বলেন, বুধবারের বৈঠকে আমিও উপস্থিত ছিলাম। হজ প্যাকেজের কোনো খরচ কমানোর সুযোগ আছে কিনা, ভাড়া কমানোর সুযোগ আছে কিনা, হজযাত্রীদের আরো কিছু ছাড় দেয়া যায় কিনা ইত্যাদি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে দেড় লাখ বা এ ধরনের কোনো শব্দ উচ্চারণ বা সুপারিশ করা হয়নি। হজের ১৬টি খরচের খাত রয়েছে। তার মধ্যে বিমানভাড়া মাত্র একটি খাত। এছাড়া বিমান হজের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছিল। পরে সবার সঙ্গে বৈঠক করে ১ লাখ ৯৮ হাজারে নামানো হয়। সে সময় আমরা ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ১০৬ টাকা ধরে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে যদি ডলারের দাম বাড়ে আমাদের ভাড়া আরো বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই নিতে হবে। হজ ফ্লাইটের পুরো ভাড়া বিমান নিচ্ছে না। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স রয়েছে। এগুলো বাদ দিয়ে টিকেটপ্রতি বিমান ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকা পাবে।
বিমানের হজ ভাড়া আদৌ কমানোর সুযোগ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। তাছাড়া ২ লাখ ১০ হাজার টাকার ভাড়া কমিয়ে ১ লাখ ৯৮ হাজার করা হয়েছে। আর কমানো যায় না। বিমান হজের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ বিবেচনা করে। এটাই আমাদের নীতি। হজে আমরা মানুষকে সর্বোচ্চ সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করি।
উল্লেখ্য, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই প্রায় দেড় লাখ টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।