শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

বিজয়ের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গতকাল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১২৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। আকাশী-নীল জার্সিধারীদের ৩৭২ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২৪৮ রানের থামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইনিংস। (ডিপিরডিসিএল) এবার দাপট দেখাচ্ছেন ব্যাটারা। তাদের সামনে পাত্তাই পাচ্ছে না বোলাররা। গতকাল আবাহনী লিমিটেডের জার্সি গায়ে এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি দাপটে ব্যাট চালিয়ে ১১৮ বলে ১২৩ রান করেন। গত আসরে রেকর্ড রান করা বিজয় এবার টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করলেন। তবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বিজয় শত রান করতে সক্ষম হলেও আক্ষেপে পুড়ছেন নাঈম শেখ। তিনি তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ১৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। এছাড়া ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে মোহামেডান। এই ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ও মিরাজ না থাকার ফায়দা লুটেছে গাজী গ্রুপ।
এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিজয়ের দাপট নতুন কিছু নয়। গত বছর প্রিমিয়ার লিগে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি। এবারও সেই সেঞ্চুরি দিয়েই ডিপিরডিসিএল টুর্নামেন্ট শুরু করলেন বিজয়।
গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১১৮ বলে ১২৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন বিজয়। সমান ৬টি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল বিজয়ের শতকটি।
সঙ্গে আরেক ওপেনার নাইম শেখও দারুন ব্যাটিং করেন। এমনকি সেঞ্চুরির পথেও হাটছিলেন তিনি। কিন্তু ৮৫ রানে সাজঘরে ফিরেন নাঈম। তাকে হারিয়ে চাপে পড়েনি বিজয়। এমনকি শতরান তুলেই ক্ষান্ত হন তিনি। আর আফিফ হোসেন ধ্রæব ৪৭ বলে ৬৫, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৭ বলে ৪৬ ও জাকের আলী অনিক ১১ বলে ২৬ রান করেন। তাদের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৩৭২ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী।
অন্যদিকে আকবর আলি বাহিনীর বিপক্ষে ৩৪৯ রানের জবাবে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। রনি তালুকদার ৬১ বলে ৮০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৭ বলে ৫৮ ছাড়া মোহামেডানের আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। গতকাল টস জিতে প্রথমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় মোহামেডান। কেউ সেঞ্চুরি করতে না পারলেও টপঅর্ডারের ৬জন ব্যাটারই রান পেয়েছেন গাজী গ্রুপের। এমনকি তিনজন করেছেন ফিফটি। দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ৩২ বলে ২৯ আর হাবিবুর রহমান সোহান ২২ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় খেলেন ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ওয়ান ডাউন ফরহাদ হোসেন ৫৪ বলে করেন ৩৯।
এরপর তিন ফিফটি, যার মধ্যে এসএম মেহরব তো হার না মানা এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রবি তেজা ৭৯ বলে ৬৬ আর আকবর আলি ৫৪ বলে করেন ৫৯ রান। ৭ উইকেটে ৩৪৯ রানে থামে গাজী গ্রুপ। আর বল হাতে খালেদ আহমেদ ৩টি আর আবু জায়েদ রাহি নেন ২টি উইকেট।
এছাড়া গত পরশু প্রথম দিন ঢাকা লেপার্ডের মুখোমুখি হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ ম্যাচ বন্ধ থাকার পর ফের মাঠে নামে দুদল। বৃষ্টির সুবাদে হেসেখেলে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারা বৃষ্টি আইনে ৮ উইকেটে জিতেছে। মিরপুর স্টেডিয়ামে মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তৌহিদ হৃদয়। ৩০ বলে ৭ চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। ফলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় শেখ জামাল। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেননি লেপার্ডের খেলোয়াড়রা। দলীয় ৪৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়