শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

করিম বেনজেমার গোলে শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের ৩০০তম ম্যাচ। অপরদিকে ফ্র্যাঙ্কফুর্টকে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ ব্যবধানে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নাপোলি। সুইজারল্যান্ডের নিওনে আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরু থেকেই চাপমুক্ত খেলতে থাকে রিয়াল। কেননা প্রথম লেগে লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৫-২ গোলে জিতেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এই ম্যাচে কোনো ম্যাজিক দেখাতে পারেনি অলরেডরা। বরং হজম করেছে আরো একটি গোল। এই নিয়ে টানা তিনবার লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্ন চুরমার করল রিয়াল। ম্যাচের শুরু থেকেই সুযোগ মিস করতে থাকে দুই দল। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পর আবারো একাধিক সুযোগ মিস করে দুই দল। তবে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। ভিনিসিয়াসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন সাবেক এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। এক গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে করিম বেনজেমা বলেন, ‘ম্যাচটি অনেক কঠিন ছিল। শুরু থেকেই আমরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি, যা আমাদের পারফরম্যান্সে স্পষ্ট ছিল। এখন আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে ম্যাচে যে ধরনের ফুটবল হয়েছে এমনটা কেউ আশা করেনি। প্রত্যেকেই এর থেকে বেশি কিছু আশা করেছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে ঘরের মাঠেও নিজেদের স্বাভাবিক খেলা উপহার দেয়া যায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয় নিয়ে আমরা মাঠ ছাড়তে পেরেছি।’
এর আগে ২০২০-২১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে লিভারপুলকে ছিটকে দিয়েছিল রিয়াল। গত মৌসুমের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় লিভারপুল। ফাইনালে ১-০ গোলে হারে অলরেডরা। আর এই মৌসুমে আরো বড় ব্যবধানে সালাহদের হারায় বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। গত মৌসুম থেকেই আমরা এই আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি। শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে উভয় লেগেই আমরা ভালো খেলেছি।’
প্রথম লেগে এর আগে বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল লিভারপুল। তবে দ্বিতীয় লেগে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয়। এবারো ম্যাচের আগে এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ক্লপ।
তবে রিয়ালের বিপক্ষে হারের পর তিনি বলেন, ‘পুরো ম্যাচেই মাদ্রিদের আধিপত্য ছিল। আলিসন দুটি দুর্দান্ত সেভ করে আমাদের রক্ষা করেছিলেন। মাদ্রিদ একটি অসাধারণ দল, আর সে কারণেই পরবর্তী রাউন্ডে ভালো দলটিই উন্নীত হয়েছে।’
এছাড়া শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে এইনট্্র্যাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নাপোলি। ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওশিমেন। পেনাল্টি থেকে দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন পিওটর জেলিনেস্কি। এই জয়ে এসি মিলান ও ইন্টার মিলানের পর তৃতীয় ইতালিয়ান ক্লাব হিসেবে শেষ আটে পৌঁছে যায় তারা। এই জয়ের পর দক্ষিণ ইতালির সবচেয়ে বড় ক্লাবটির আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ওশিমেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই জয় ইতিহাস রচনা করেছে, যা সত্যিই অসাধারণ। আমরা স্বপ্ন দেখে যাব, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের স্বপ্ন এই দলটির আছে। আমি মনে করি আমরা সঠিক পথেই আছি। আমাদের কোচও অসাধারণ। দেখা যাক ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভালো একটি সুযোগ আছে।’
প্রায় তিন দশক পর লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল সিরি আ’র শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। প্রথমার্ধে স্টপেজ টাইমে দুর্দান্ত এক হেডে নাপোলিকে এগিয়ে দেন ওশিমেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তারকা। এরপর ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি পায় নাপোলি। স্পট কিক নেন পিওটর জেলিনেস্কি। তাতেই দুই লেগ মিলে ৫-০ গোলের জয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নাপোলি। ম্যাচ শেষে নাপোলি কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলেন, ‘এটা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। তবে যেভাবেই হোক আমরা নাপোলির হয়ে ঐতিহাসিক এক লক্ষ্য অর্জন করলাম। আশা করি এ সাফল্য এখন আমরা সমর্থকদের নিয়ে পুরো দলই উপভোগ করব। ওশিমেন খুব ভালো ফুটবলার। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম। এখন দলের হয়ে দারুণ খেলছেন তিনি, আমরাও অনেক খুশি।’
ডিয়েগো ম্যারাডোনার অধীনে নাপোলি উয়েফা কাপের শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৯ সালে। কিন্তু ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে পরে কোনো আসরেই দ্বিতীয় রাউন্ডের বেশি যেতে পারেনি তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়