ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

সিনহার বাড়ি জব্দ করতে যুক্তরাষ্ট্রে চিঠি পাঠাবে দুদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বাড়ি জব্দ করতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে চিঠি পাঠাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, এস কে সিনহা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকার ভুয়া ঋণ সৃষ্টির পর ওই অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর ও মানিলন্ডারিং করেছিলেন।
এই অপরাধে ঢাকার বিশেষ আদালত-৪ এস কে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে ১১ বছরের সাজা ও অর্থ দণ্ড এবং এস কে সিনহার আমেরিকার বাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী খুব শিগগিরই দুদক থেকে আমেরিকায় (এমএলএআর-মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকোয়েস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে আইনি চিঠি পাঠানো হবে।
ব্রিফিংয়ে মাহবুব হোসেন আরো বলেন, এস কে সিনহা তার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় ২০১৮ সালের ১২ জুন ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার ক্যাশ দিয়ে তিন তলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি ক্রয় করেন। বাড়ি ক্রয়ের অর্থ ইন্দোনেশিয়া এবং কানাডার রয় এ গ্রুপের কাছ থেকে পাওয়া।
যা প্রকৃতপক্ষে একটি অস্তিত্বহীন সেল কোম্পানি। অনন্ত কুমার সিনহা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯০ ডলারের চেক সংগ্রহের জন্য তার বড় ভাই এস কে সিনহাকে নিয়ে আমেরিকার ড্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে আসেন। এস কে সিনহা ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান, আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় বাড়ি ক্রয়ের জন্য বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ফান্ড পেয়েছেন।
দুদক সচিব জানান, এস কে সিনহা বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিভিন্নভাবে অবৈধ টাকা অর্জন করে তা হুন্ডিসহ বিভিন্ন কায়দায় আমেরিকায় পাচার করে তার ছোট ভাইয়ের একাউন্টে ওই টাকা ট্রান্সফার করেন এবং তা দিয়েই ১৭৯, জ্যাপার স্ট্রিট, প্যাটারসন নিউ জার্সি ০৭৫২২-তে একটি বাড়ি কেনেন।
যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ঘটনায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার।
পরে তিনি তদন্তকালে এস কে সিনহার ওই বাড়ি ক্রোকসহ আমেরিকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ওই বাড়িটি ক্রোকসহ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন। ফলে বাড়িটি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আমেরিকায় শিগগিরই এমএলএআর প্রেরণ করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়