ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুটি রিট সরাসরি খারিজ

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশ করা গেজেটের বৈধতা নিয়ে দায়ের করা পৃথক দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত রিট দুটি খারিজের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। তার রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে যোগ্য ও একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসির প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গত ১২ মার্চের কার্যতালিকায় রিটটি আসে। বেঞ্চের একজন বিচারপতি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। পরে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি এ রিট শুনতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জারি করা ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ৬ আইনজীবী ১২ মার্চ আরেকটি রিট করেন। সেই রিট প্রার্থনায় দেখা যায়, ইসির ১৩ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপন ও মনোনয়নপত্র পরীক্ষাসংক্রান্ত ১৯৯১ সালের আইনের ৭ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। এই রিটেও নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মো. সাহাবুদ্দিনকে বিবাদী করা হয়। সেটিও গত সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠানো হয়। রিট দুটির প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল শুনানির দিন ধার্য ছিল।
শুনানিতে তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

শুনানি করেন রিটকারী দুই আইনজীবী এম এ আজিজ খান ও আব্দুল মোমেন চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম আমীন উদ্দিন এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। রিট খারিজের আদেশের পরে রিটকারী দুই আইনজীবী আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করবেন বলে ভোরের কাগজকে জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নিয়মানুযায়ী ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব নেবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়