ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

ধামইরহাট লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় : প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে দ্ব›েদ্ব শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল আজিজ মণ্ডল, ধামইরহাট (নওগাঁ) থেকে : ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে দ্ব›েদ্ব শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। গ্রামবাসীরা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। আমরা ছাত্রছাত্রী নিয়ে বড় বিপদে পড়েছি।
সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দ্ব›েদ্ব মারপিট, হুমকিধামকি, লাঠিচার্জ মানববন্ধন ও হামলা মামলার ঘটনা ঘটে আসছে। গত রবিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধানের চেয়ারে বসা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাজিরা খাতায় ৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষর নিয়ে বাকি শিক্ষককর্মচারীর স্বাক্ষর না নিয়ে হাজিরা খাতা গোপন করা হয়। এ নিয়ে আবার মারামারি শুরু হয়। এতে হাবিবা নামে একজন শিক্ষিকা আঘাত পেলে তার অভিযোগে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার সাদেকুল ইসলাম বিদায়ী এসএসসি পাস কিছু শিক্ষার্থী, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীসহ মোট ২৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পিকনিকের নামে উপজেলা সদরে গত সোমবার মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা করেছে সহকারী প্রধান শিক্ষক আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলভী নুরুল ইসলাম, দাবিদার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক। সাবেক সভাপতি বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি নুরুল ইসলাম অবসরে যান। তার আগে আমি সভাপতি থাকাকালে বিএড সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শিক্ষা নীতিমালা ভঙ্গ করে জুনিয়র শিক্ষক সাদেকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক আল মামুন বলেন, সাসপেন্ডের বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি। আরবিটেশান বোর্ড আদেশ দিলে নিয়মনীতি অনুযায়ী বেতন ভাতা পাচ্ছি। শিক্ষা নীতিমালার আলোকে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাই। সাদেকুল ইসলাম বলেন, পূর্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম আমাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আমিই প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী ভুট্টু জানান, বিদ্যালয়ে কোনো কমিটি নেই। ভারপ্রাপ্ত এবং প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। কমিটি গঠনের সুযোগ সুবিধা না থাকায় ইউএনও বেতন ভাতা বিলে স্বাক্ষর করছেন। ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি মানবিক কারনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিল প্রদানের লক্ষ্যে আদেশ দিয়ে আসছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়