ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন তিনি।
‘বিএনপি সংলাপে যাবে না’- দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কি তাদের সংলাপে ডেকেছি? তাদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো সংলাপের তো প্রয়োজন নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিওনি। আমরা যদি ডাকতাম তাহলে তাদের সেই কথা বলার সুযোগ থাকত। ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’- দলটির এমন অবস্থানে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হয় না। তারা যদি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়, সেটার কোনো সুযোগ নেই, কারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, ইংল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশ জার্মানি, ফ্রান্সে সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও সেটি হবে। গত নির্বাচনে ‘বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য’ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো এ ঘটনা ঘটেনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন নমিনেশন পেয়েছে, পরে দেখি ওটা উল্টে গেছে, আরেকজন পেয়েছে। তারপর দেখলাম সেটা এলডিপিকে দিয়েছে। প্রতিবাদে বিএনপির মহিলাকর্মীরা ঝাড়– মিছিল করল। তারা এভাবে বেচা-বিক্রি করেছে।

তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একজনকে মনোনয়ন দেন, ফখরুল সাহেব আরেকজনকে দেন, রিজভী সাহেব আরেকজনকে দেন, তাদের তিনজনের টানাটানিতে যেটা জেতে সেটা ফাইনাল। তাদের নির্বাচনে খুব খারাপ ফল করার পেছনে এগুলো বড় প্রভাব ফেলেছে।
ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগে পরীক্ষিত যাদের জনপ্রিয়তা আছে তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ আদর্শিক দল, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা কিংবা কর্মীকে বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড় ব্যবসায়ীদের আমরা নমিনেশন দেই না। অনেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল এবং মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে নমিনেশন পেয়েছিল। পরে তারা মন্ত্রীও হয়েছিল। এ ধরনের প্র্যাকটিস বিএনপিই করে, কারণ বিএনপি তো সৃষ্টিই হয়েছে ক্ষমতার হালুয়া রুটি বণ্টন করে রাজনীতির কাকদের নিয়ে। ফখরুল, রিজভী ও মোশাররফ সাহেব সবাই অন্য দল করতেন। দলছুট নেতাদের, রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। সে কারণে তাদের মধ্যে আদর্শ নাই, তাই তারা এভাবে পদ বাণিজ্য করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে।
এর আগে মন্ত্রী অমর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন’ এবং রফিকুল ইসলামের কাব্য সংকলন ‘তুমি বঙ্গবন্ধু, তুমি জাতির পিতা’ গ্রন্থ দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন।ু

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়