ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

জবাবদিহি করতে হবে : ইউজিসি > গুচ্ছে না থাকার সিদ্ধান্ত জবির

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সমন্বিত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির আগামী সিন্ডিকেটে (৯২তম) বলছেন উপাচার্য। তবে সিন্ডিকেট কবে নাগাদ হবে সেটির নির্ধারিত তারিখ জানানো হয়নি।
একাডেমিক কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন সদস্য। এদের মধ্যে গুচ্ছের বিপক্ষে ৩৫ জন, ২ জন পক্ষে এবং বাকি ১৩ জন কোনো মতামত দেননি। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে গুচ্ছে থাকছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য চেয়েছেন বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সভায় তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য শুনেছি। পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সেটি আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবিও জানিয়েছিলেন তারা। এর জন্য একাডেমিক কাউন্সিল সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে এ সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গুচ্ছ থেকে বের হলে জবিকে জবাবদিহি করতে হবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে জগন্নাথ ও শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। জবিকে দাওয়াত দিয়ে গুচ্ছে আনা হয়নি। তারা স্ব-উদ্যোগে এসেছে। গত দুটি ভর্তি পরীক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এখন নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে যেতে চায়। কেন যেতে চায় তার সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। গত মাসেও শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ভিসিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তারা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়