ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

গ্রাহকদের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় গ্রাহকের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং উদ্যোক্তা মো. আলমগীর উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার থেকে উপজেলার বোর্ড বাজারের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখাটি তালাবদ্ধ আছে। খোঁজ মিলছে না অংশীদার ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থাপকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক দশক ধরে হুগলাকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন বেপারির ছেলে আলমগীর তার অংশীদার বীর কাটিহারী গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়াকে নিয়ে বোর্ড বাজারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং করে আসছিলেন। ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় হুগলা কান্দি গ্রামের রিটন মিয়াকে। বর্তমানে তারা সবাই গা ডাকা দিয়েছেন। ভালো আচরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেন আলমগীর। একপর্যায়ে স্থায়ী আমানত বা ডিপিএস প্রতি এক লাখ টাকা জমার বিপরীতে মাসে এক হাজার টাকা সুদ দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এতে গ্রামবাসীরা ডিপিএসে আগ্রহী হোন। এসব ডিপিএস রাখার সময় আলমগীর তাদের চেক দেন। ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এ এজেন্ট শাখার চর হাজীপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার স্বামীর পাঠানো ২৭ লাখ টাকা রেখেছিলেন।
হুগলা কান্দি গ্রামের আব্দুল মোতালিব রেখেছিলেন সাড়ে ১৫ লাখ, একই গ্রামের আবুল কাসেম রেখেছিলেন ১৪ লাখ। এ রকম মোজাম্মেল ৯ লাখ, মকবুল ৭ লাখ, রসুল মিয়া ১০ লাখ, মোক্তার উদ্দিন ৩ লাখ, তার ছেলে রাসেল ৩ লাখ, হৃদয় বাবু সাড়ে ৫ লাখ, আবুল কালাম ৮ লাখ, আব্দুর রাজ্জাক ১২ লাখ, ফজলুল হক ৭ লাখ, দিলোয়ারা খাতুন ২ লাখ, মিতু আক্তার ২ লাখ। এ রকম ৪ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে যারা এ খবরে গত তিনদিন ধরে তারা বোর্ডবাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় চেক নিয়ে গেলে কারো দেখা পাচ্ছেন না। মোবাইল নাম্বারও বন্ধ।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, এখানকার অনেকের স্বজনই প্রবাসী। তাদের পাঠানো টাকা তারা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জমা করছিলেন ডিপিএস হিসেবে। সেই টাকার ওপর প্রতি লাখে এক হাজার টাকা সুদও পাচ্ছিলেন। কিন্তু রবিবার থেকে শাখাটি তালাবদ্ধ করে এজেন্ট উধাও হয়ে গেছেন। ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এরিয়া ব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার থেকে বোর্ড বাজারের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এজেন্ট আলমগীর তার ব্যক্তিগত নথিপত্র দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এদিকে টাকা তুলতে না পারার গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছেন জানতে পেরে আলমগীরের সন্ধান পেতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড বাজারে বিক্ষোভ করে হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটুু বলেন, আলমগীরের একটি পাসপোর্টের অনুলিপি সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তার সন্ধান পেতে। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ মন্ডল জানায়, বিষয়টি আমিও অবগত আছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়