ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

ইংল্যান্ডকে লজ্জায় ডোবানোর রহস্য জানালেন লিটন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ২০২২ সালটা কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরেও নিজের ক্ষিপ্রতা দেখিয়ে দর্শকদের মাতিয়েছেন তিনি। তবে বছরের প্রথম সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হঠাৎই ছন্দপতন হয় তার। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৭, ০, ০ রান করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও জ¦লে ওঠার আগে সাজঘরে ফিরেছেন। অবশেষে ইংলিশদের ধবলধোলাই করার ম্যাচে ফিরে এলেন লিটন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ৭৩ রানের ইনিংস গড়েন তিনি ম্যাচটিতে। একদিকে লিটন মাঠে আগুন ঝরাচ্ছিলেন অন্যদিকে তার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচকদের পুড়ছিলেন সেই আগুনে। গণমাধ্যমের মুখোমুখি লিটন গতকাল নিজের হঠাৎ ছন্দপতন এবং ছন্দে ফিরে আসার রহস্য জানান।
ছন্দে ফেরার রহস্য জানিয়ে লিটন বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন ধরে আমি যখন নকিং করছিলাম, আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম না। আজকে যখন ম্যাচের আগে নকিং করলাম, তখন দেখলাম শেপ থেকে শুরু করে আমার ভালো অনুভূতি কাজ করছিল। একটা ব্যাটারের ভালো অনুভূতিটাই মূল বিষয়। আমার কাছে মনে হয় এই ফিলটার জন্যই আমার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘যখন একটা ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে তখন আপনি বল ভালো দেখবেন। আমার কাছে মনে হয় এতদিন যত অনুশীলন করেছি, নকিং করেছি তার চেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে আজকে সকালে ৫-৭ মিনিট নকিং করে। নকিং করে আসলে খুব বড় কিছু হয়ে যায় না। তবে আমার মনে হয়, আমি ওখান থেকে অনেক বড় কিছু পেয়েছি।’
ছন্দ হারানোর ব্যাপারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন এটা বললে অন্য কিছু মনে হতে পারে। আমি শেষ যে বিপিএল খেলেছি সেখানে একটানা ১২-১৪টা (১৩ ইনিংস) ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেছি। এতগুলো ম্যাচ খেলার কারণে আমার ব্যাটিংয়ের শেপ নষ্ট হয়ে গেছে। যেটার প্রভাব পড়েছে ওয়ানডেতে। আমি জিনিসগুলো অনুসরণ করে আসছিলাম শেষ দেড়-দুই বছর। আমি চেষ্টা করছিলাম কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি সে জিনিসগুলো। শেষ দুই ম্যাচেও আমি কিছু মেলাতে পারছিলাম না। কিছু ব্যাপার থাকে ব্যাটিংয়ে, একেক জনের একেকটা ফিল থাকে। কেউ একটা পুল শট মেরে, কেউ একটা কাভার ড্রাইভ মেরে সেই ফিলটা পায়। আজকে যখন আমি নকিং করছিলাম আমার ফিলটা ভালো কাজ করেছে।’

একদিকে যখন লিটন কুমার দাস পাঁচ ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে ফিফটি পূরণ করেন তখন তার স্ত্রী সঞ্চিতা সমালোচকদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘কেউ একজন তো আছে যে তোমার ব্যর্থতা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তুমি পারফরম্যান্স করে তাদের দমবন্ধ অনুভব করা নিশ্চিত করো। তোমার সবচেয়ে বড় ভক্ত (নিজেকে বোঝান)।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়