ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

আমরা বারবার নিরাশ হয়েছি : মুন্সি ফয়েজ আহমদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আমরা বারবার নিরাশ হয়েছি, সবার বিশ্বাস ভেঙেছে। এ অবস্থায় জোর করে আশা করবার মতো কিছু নেই। তবু নতুন করে আবার ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। নতুন করে কিছু একটা শুরু হয়েছে। এই নতুনকে নিয়ে আশায় থাকার কথা বললেন চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ। গতকাল রাতে তিনি ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নানা কারণে মিয়ানমার এখন চাপে আছে। এই চাপ থেকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য হয়ত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ভেরিফিকেশন চালু করেছে। হয়ত দেশটি ভেবেছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ভেরিফিকেশন শুরু হলে চাপ কিছুটা কমবে, দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে যাবে। পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। তবে এটাও ঠিক, মিয়ানমার কী করবে না করবে এর ওপর ভরসা করে বসে থাকা ঠিক হবে না। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমে ফিরে যেতে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এখন চীন কিছুটা তৎপরতা দেখাচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি মধ্যস্থতা করে চীন সফল হয়েছে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে কাজ করছে। এর ফলে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এটা থেকে মনে হয়, চীন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কাজ করে সফল হলে চীনের ভাবমূর্তি আরো বাড়বে। তবে এটাও ঠিক মিয়ানমার বলবে আর রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে রাজি হবে-এমনটি ভাবা উচিত হবে না। কারণ ভেরিফিকেশনের নামে মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেবে। সাক্ষাৎকার নেয়ার পর রোহিঙ্গারা বলবে, তারা যাবে কি যাবে না। তারা যদি ফিরে যেতে চায় তাহলে নিশ্চয়তা চাইবে। সুন্দর পরিবেশ চাইবে। আর যাতে নিপীড়ন না হয় সে বিষয়েও আস্থার পরিবেশ চাইবে। কিন্তু এই নিশ্চয়তা দেবে কে- জানতে চাইলে এই কূটনীতিক বলেন, অভিবাসন কিংবা প্রত্যাবাসন দুটোই হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থার উপস্থিতিতে। এটা চীনের নেতৃত্বেও হতে পারে। ব্যাখা দিয়ে তিনি নিজেই বলেন, চীনের নেতৃত্বে একটি টাক্সফোর্স হতে পারে। এই টাক্সফোর্সে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যুক্ত থাকবে। তাদের নজরদারির মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হলে হয়ত কিছুটা আস্থা আসবে। সবমিলিয়ে রোহিঙ্গারা স্বাভাবিক পরিবেশে যাতে নিজেদের ভূমে ফিরতে পারে এটাই একমাত্র চাওয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়