শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

সিদ্দিকবাজারের সামনের সড়কে যান চলাচল শুরু : বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ২৫

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কুইন স্যানিটারি মার্কেট ভবনের সামনের সড়কের বন্ধ থাকা লেন দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঝুঁকি বিবেচনায় লেনটির অর্ধেক ব্যারিয়ার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভবনটির সামনের সড়ক খুলে দেয়া হয়। ফলে সকাল থেকেই সড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল করছে। এছাড়া ভবনটিতে পুলিশের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কলাম মেরামতের কাজ করছে রাজউক।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরো একজন মারা গেছেন। তার নাম মো. জাহান সরদার (২৬)। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাহান সরদারের মা সেলিনা বেগম জানান, জাহানের বাবার নাম জাহাঙ্গীর সেলিম সরদার। তারা দনিয়া কলেজের পিছনে একটি বাড়িতে থাকেন। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হলেও নবাবগঞ্জের শুল্লায় তাদের বাড়ি আছে। সেখানে থেকে নবাবগঞ্জ ডিএন কলেজে অনার্সে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করতেন জাহান। এক ভাই এক বোনের মধ্যে জাহান ছিলেন ছোট।
সেলিনা বেগম আরো জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক রোডে তাজ সুপার মার্কেটে ২য় তলায় একটি দোকানে ১ বছর যাবত কাজ করে আসছিলেন জাহান। সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস করতেন আর ৩ দিন দোকানে কাজ করতেন। ঘটনার দিন জাহান নবাবগঞ্জ থেকে বাসে দনিয়ার বাসায় ফিরছিলেন। গুলিস্তানের রাস্তায় জ্যাম থাকায় বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিস্ফোরণ ঘটলে তার শরীর পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জাহানের কাছ থেকে পরিবারের নম্বর নিয়ে তাদের ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান তারা।
প্রসঙ্গত, ৭ মার্চ বিকালে সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন স্যানেটারি নামে সাত তলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ভবনের ২৪টি কলামের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৯টি। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার-পাঁচটি কলাম। ফলে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেদিন থেকেই বন্ধ থাকে ভবনের সামনের রাস্তার লেন। বিপরীত পাশের লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও ব্যাপক যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়