শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

সংসদীয় কমিটির বৈঠক : প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি বলেছে, ২০১৩ সালে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ প্রণয়ন হলেও এ পর্যন্ত এটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নীতিমালার বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে বয়স্ক ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মো. শিবলী সাদিক, নাসরিন জাহান, আ ক ম সরওয়ার জাহান, আরমা দত্ত ও শবনম জাহান বৈঠকে অংশ নেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এই নীতিমালা বাস্তবায়নে সমাজসেবা অধিদপ্তর কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ভাতাভোগীকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রবীণ হাসপাতাল করা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর ফরিদপুরে একটি শান্তি নিবাস পরিচালনা করছে। এতে প্রবীণ ব্যক্তিদের আবাসন, ভরণ-পোষণ, চিকিৎসা, চিত্ত-বিনোদনসেবা দেয়া হয়। মন্ত্রণালয় এসব উদ্যোগের কথা বললেও আসলে প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এটি বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ১ কোটি ৫৮ লাখ প্রবীণ রয়েছেন দেশে। ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা হয়েছে, ২০১৪ সালে গেজেট হয়েছে, অথচ আজ পর্যন্ত এই নীতিমালার কোনো বাস্তবায়ন নেই। সংসদীয় কমিটি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রবীণদের কল্যাণে প্রণীত ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩’-এর বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। যেখানে সব ধরনের যানবাহনে প্রবীণদের কম ভাড়ায় যাতায়াত, প্রবীণদের উপযোগী রাস্তা তৈরি, প্রবীণ স্বাস্থ্য বিমা ও সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন, সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বয়স্ক বিভাগ খোলা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবীণদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া, সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের মাধ্যমে কম দামে ওষুধ কেনাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কমিটি এসব বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ কার্যক্রম নেয়ার সুপারিশ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়