শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

নোয়াখালী : প্রবাসী নির্যাতনের অভিযোগে ডিবির ২ পুলিশ ক্লোজড

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী ও বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুবাই ফেরত প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম খান ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন।
গত সোমবার রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে ওই অফিস আদেশে প্রশাসনিক কারণে তাদেরকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা (ক্লোজড) করা হয় বলে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ৩ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রবাসীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসার পথে এক প্রবাসী কিছু সোনা, একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ তাকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। ঢাকায় যাকে এগুলো দেয়া হবে তাকে ওই প্রবাসী মহিনের ছবি তুলে পাঠানো হয়। কথামতো বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তি সেই ছবি দেখিয়ে জিনিসগুলো নিয়ে যান এবং প্রতিশ্রæতি মতো তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। এর কিছুদিন পর দুবাই থাকা ওই প্রবাসী তার মালামাল বুঝে পাননি বলে মৌখিক অভিযোগ করেন। এরপর মহিন বাড়িতে পৌঁছালে দুবাই থেকে ওই প্রবাসী তার জিনিসপত্র পায়নি বলে অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) শরীফুল ইসলাম প্রবাসী মহিনের বাড়িতে গিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। শেষে ২০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে ছাড়া পান ওই প্রবাসী।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বিজয়া সেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক প্রবাসীর অভিযোগের আলোকে অভিযুক্তদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়