শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

তারেক রহমানের সাবেক এপিএসের জামিন স্থগিত

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সেই জামিন স্থগিত করেছেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। অপুর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। তবে এই মামলায় গত সোমবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম শুনানি করলেও গতকাল তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড করপোরেশনের অফিসে বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুতের অভিযোগ পায় র?্যাব-৩। সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে এ এম হায়দার আলীকে আটক করে র?্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। একইকাজে ব্যবহারের জন্য আরো ৫ কোটি টাকা মানিটারি এক্সপ্রেস অফিসে রেখে আসার কথা স্বীকার করেন হায়দার আলী। ওই ঘটনায় অপুসহ ৬ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করে ২টি মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলায় অপুকে ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নি¤œ আদালতে জামিন না মিললে হাইকোর্টে আবেদন করেন অপু। পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় অপুকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আর অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় জামিন হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট কামরুল ইসলাম। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থাগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।
এদিকে অপুর পক্ষে এডভোকেট কামরুল ইসলাম জামিন শুনানি করায় রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, যদি জানতাম আসামি তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন, তাহলে কখনো এ মামলায় শুনানি করতাম না। মামলার রেকর্ডের কোথাও লেখা নেই যে নুর উদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। সিআইডির রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ নেই। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে কখনো বলেননি যে নুর উদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। এক জুনিয়র এ মামলায় আমাকে সিনিয়র হিসেবে নিয়োগ দেয়। সিনিয়র হিসেবে আমি ব্রিফ করেছি। প্রচুর ফি পেয়েছি। এ কারণে আসামির পক্ষে কয়েক দিন শুনানি করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়