শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক : ১১ কোটি টাকা লুটে আরো ৩ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হৃদয়, আকাশ ও মিলন। এ সময় ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। নতুন করে উদ্ধার হওয়া টাকাসহ লুটের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি জানিয়েছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথে টাকা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে থাকা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের সাবেক গাড়িচালক সোহেল রানাসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন। আর পলাতক সোহেল রানা ও গ্রেপ্তার আকাশ টাকা লুটের ঘটনার হোতা। টাকা লুটের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভাড়ায় লোক আনা হয়।
এ ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান কড়াইল বস্তির বউবাজার এলাকা থেকে হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে পাওয়া যায় ১০ লাখ টাকা। এ নিয়ে সর্বশেষ ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হলো।
তিনি আরো বলেন, ডাকাত দলে ছিল ১০-১২ জন। যখন মানি প্ল্যান্ট লিঙ্কের গাড়ি থেকে ট্রাঙ্কগুলোর স্থানান্তর করে ডাকাতদের ভাড়া করা হাইয়েস গাড়িতে তোলা হয় তখন একজন উঠতে না পেরে দৌড়াতে থাকেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, না উঠতে পরা ব্যক্তিই হলেন আকাশ।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা ডাকাতির ঘটনায় দুজন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এদের মধ্যে একজন এই আকাশ, আরেকজন সোহেল রানা। আগে গ্রেপ্তার হওয়া ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই ডাকাতির ঘটনায় কয়েক স্তরে বিভিন্ন জনের আলাদা দায়িত্ব ছিল। কেউ ছিলেন পরিকল্পনাকারী, কেউ ছিলেন মোবাইল ও সিম সংগ্রহকারী ও কেউ ছিলেন কামলা (ডাকাত) সংগ্রহকারী। ডাকাতির পরিকল্পনার বিষয়টি সোহেল রানা গ্রেপ্তার মো. ইমন ওরফে মিলনকে জানান। ইমন জানায় সানোয়ারকে। তিনিই দায়িত্ব নেন ডাকাত সংগ্রহের।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির এ কর্মকর্তা জানান, ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেয়াদের দেশের বিভিন্ন জেলা সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে সংগ্রহ করা হয়। ডাকাতির পর তারা টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে যার যার মতো বিভিন্ন এলাকায় চলে যায় ও বেশ কিছু টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ করে। এ কারণে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও লুটের টাকা উদ্ধার করতে কিছুটা বিলম্ব হয়।
তিনি আরো বলেন, ডাকাতির পরিকল্পনায় ছিলেন দুজন। আর বাস্তবায়নে কাজ করেছে ৪-৫ জন। এদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানাই পরিকল্পনা করে ডাকাতির মূল ছক সাজায়। সোহেল রানা এর আগে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক লিমিটেডের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করেছেন। কাজ করার কারণে তিনি মানি প্ল্যান্টের খুঁটিনাটি বিষয়াদি সম্পর্কে জানতেন। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই তারা মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। ছিনতাইকৃত টাকার একটি বড় অংশ সোহেল রানা নিয়ে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির কর্মকর্তা হারুন বলেন, এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের সবাইকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে আরো কেউ জড়িত কিনা বা মানি প্ল্যান্ট লিঙ্কের কেউ জড়িত কিনা তা জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়