চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

সিইসি : ভোটের সময় মোবাইল সেবায় ‘বিঘœ’ জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করে

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভোটের সময় মোবাইল ফোন সেবায় বিঘœ ঘটলে বা ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকলে তা জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে যেন সন্দেহের সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে, স্বচ্ছতার বিষয়ে জোর দিতে হবে। তার প্রত্যাশা, সরকারও বিষয়টা বুঝবে।
গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে খসড়া সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য সংগ্রহে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে বলব- গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা, সার্বিক কর্মকাণ্ডকে জনস্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয় সেটা আমরা দেখব। আমরা আপনাদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করব।
সিইসি বলেন, নেটওয়ার্ক স্লো- এটাকে অপকৌশল হিসেবে কেউ ব্যবহার করে কিনা সেটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। সরকারের কাছে এ বক্তব্য যে কেউ বলতে পারে- নির্বাচনে এ জিনিসগুলো না করাই বোধ হয় ভালো হবে। তাহলে সন্দেহের উদ্রেক হবে। এ ধরনের ঘটনা হলে তা নির্বাচনের স্বচ্ছতার পরিপন্থী হবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে তাহলে এটা কি করে ঘটে আমি জানি না।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনায় সাংবাদিকরা ভোটের সংবাদ সংগ্রহের নানা বাধা-বিপত্তির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে অবাধ তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইসির ইতিবাচক ভূমিকা রাখার দাবি করেন তারা।
সাংবাদিকদের পুলিশি বাধার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেয়ার পরেও পুলিশ ঢুকতে না দিলে সিরিয়াসলি নিতে হবে আমাদের। পুলিশ ঢুকতে না দিলে ছবি তুলে দেখানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ক্যামেরা থাকবে। তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে পুলিশের সঙ্গে সেই দৃশ্য আপনারা ক্যামেরায় ধারণ করে আমাদের অবহিত করতে পারেন। যতটুকু ক্ষমতা আমরা গণমাধ্যমকে দেব, সেটা যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য হয়তো কমিশন একমত হবে।
সিইসি বলেন, গণমাধ্যম যদি আরো উদার থেকে, বস্তুনিষ্ঠভাবে ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তুলে ধরে, যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে আগামী নির্বাচন দেশবাসী ও জনগণের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ কয়েকজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়