চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : বিনিয়োগের আগে পরিবেশ দেখতে চান বিদেশিরা

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্ব কমিউনিটির সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বিদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের বলব, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়। অন্যরা বিনিয়োগের আগে আপনারা চলে আসুন। এখানে বিনিয়োগ হবে সাশ্রয়ী। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগে দেশের পরিবেশ দেখতে চায়। তারা বিনিয়োগযোগ্য পলিসি দেখে এর পরই বিনিয়োগ করেন। বাংলাদেশে এ ধরনের পরিবেশ রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের শেষদিনে আয়োজিত ‘সার্কুলার ইকোনমি’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে যদি সুযোগ-সুবিধা বেশি হয় তবে এখানে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবেন। এটা না হলে অন্য দেশে তারা চলে যাবে। আমরা আমাদের উন্নয়নের পর্যালোচনা করছি, আবার নতুন করে কীভাবে উন্নয়ন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে রিসাইকেলিংয়ের অবস্থা কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করার এখনই সময়। আগামী ৫০ বছরে আমরা কী করব তা এখনই ভাবার সময়। বিদেশি উদ্যোক্তারা এখানকার পলিসি-পরিবেশ দেখতে চায়। তাদের চয়েজ রয়েছে, বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকলে তারা চলেও যেতে পারে।
সেমিনারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত সট চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বিশ্ব এখন ডাবিং চক্রাকার অর্থনীতিতে জোর দিচ্ছে। ইইউ শুধু বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান বাজারই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক বাজার। আমরা কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনাসহ পরিবেশ রক্ষার শর্তপূরণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া চেষ্টা করছি।
বেক্সিমকো টেক্সটাইল প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ নাভিদ হোসেন বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা মুনাফার পেছনে ছুটি না। বিনিয়োগে আমরা শুরুতে মানুষ, এরপর প্রকৃতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। মানুষ এখন বিত্ত, বৈভব ও শক্তির দিকে ঝুঁকছে। মহামারিতে সেগুলো কাজে আসেনি। এখন আমাদের এসব পেছনে ফেলে টেকসই অর্থনীতি বিশেষ পরিবেশ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, তৈরি পোশাক, নির্মাণসামগ্রী কিংবা ইলেকট্রনিকস সামগ্রীসহ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য নানা পণ্যের কাঁচামাল আসে প্রাকৃতিক উৎস থেকে। দিনে দিনে কঠিন হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ। ব্যবহারের পরেই পণ্যগুলো হয়ে যায় বর্জ্য। এটি পরিবেশের জন্য হুমকি। এসব সমস্যার সমাধান হলো এক পণ্যের বারবার ব্যবহার বা চক্রাকার অর্থনীতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়