চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

সংযোগ সড়ক না হওয়ায় কাজে আসছে না কালভার্ট

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. মাজেম আলী মলিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে : মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তার জন্য ১২ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কালভার্ট। তাই কাদাপানি মাড়িয়েই অতিকষ্টে ফসল ঘরে তুলতে হচ্ছে ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার কৃষককে। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রæতি দিলেও বেমালুম ভুলে যান সংযোগ সড়কটির কথা। এভাবেই কষ্টগুলোর কথা জানালেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বয়সি কৃষক রমিজ মণ্ডল।
বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর রাবার ড্যাম থেকে বিলহরিবাড়ি মৌজা হয়ে মহিষমারী (মৃধা পাড়া) সংযোগ সড়কে কালভার্ট থাকলেও মাঝপথে কালভার্টের দুই পাশে নিচু জায়গা থাকায় দুপাশেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনগণের চলাচলসহ কৃষিফসল নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার কৃষককে।
সড়কটি মূলত উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর রাবার থেকে বিলহরিবাড়ি মৌজার ওপর দিয়ে পাশের সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের মহিষমারি মৃধাপাড়ায় গিয়ে উঠেছে। সড়কটি নির্মাণ হলে ভোগান্তি কমে যাবে দুই থানার কয়েক হাজার মানুষের। রাস্তার মাঝখানে কালভার্টটি তৈরি হয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু কালভার্টের দুই পাশ নিচু থাকায় পানি আর কাদাজলে ডুবে থাকে ১২ মাস। যার কারণে বছরজুড়েই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। পথচারীসহ কৃষকরা উপায় না পেয়ে ফসলি জমি মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল।
স্থানীয়রা জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় একযুগ আগে নির্মিত কালভার্টটি কোনো কাজেই আসছে না। গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট ও সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কৃষকদের প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলহরিবাড়ি বিলের ওপর দিয়ে সংযোগ সড়কটির মাঝ পথে নির্মিত এ কালভার্টটি প্রায় ১২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কালভার্ট নির্মাণ হলেও এর দুপাশে এখনো মাটি দেয়া হয়নি। এছাড়াও সংস্কার করা হয়নি সড়ক ও কালভার্টটি। অত্যন্ত নিচু জায়গা হওয়ায় বর্ষা ও শুকনো মৌসুমেও পানি আটকে থাকে। বাধ্য হয়ে কাদাপানির মধ্য দিয়েই পার হতে হচ্ছে তাদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
সাবগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক নাজমুল হোসেন বলেন, কালভার্টটি প্রায় একযুগ আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকমতো রাস্তা তৈরি না হওয়ায় কালভার্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। কৃষি ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুই থানার হাজারো মানুষ।
ওই এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর রাবার ড্রাম থেকে মহিষমারি মৃধাপাড়া পর্যন্ত সংযোগ কাঁচা সড়ক রয়েছে।
আর এ রাস্তা দিয়ে দুই ইউনিয়নে যাতায়াতে সময় কম লাগে মাত্র আধা ঘণ্টা। আর বিলদহর হয়ে ঘুরে আসতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘন্টা। তাই ভোগান্তি লাঘবে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বিয়াঘাট ইউপির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সুজা বলেন, শুনেছি অনেকদিন আগে কালভার্টটি তৈরি হয়েছে। আমি নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি অবগত হলাম। অতিদ্রুতই সমস্যাটির সমাধান করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়