চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

মুরগির খামারে ভাগ্যবদল

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা থেকে : সোনালী মুরগির খামার গড়ে ভাগ্যবদল হয়েছে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সর্বসাংদা গ্রামের আতিয়ারের। বর্তমানে তার ৫টি খামারে প্রায় ১০ হাজার মুরগি রয়েছে। শত বাধা পেরিয়ে দৃঢ় মনোবল আর তার স্ত্রীর সহযোগিতায় তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। একে একে গড়ে তোলেন বিশাল মুরগির খামার, যা থেকে তিনি প্রতি বছর আয় করছেন ১৫-১৬ লাখ টাকা ।
সরজমিনে আতিয়ারের খামারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির খাবার দেয়া, পানি দেয়া ও ঔষধ দেয়ার কাজ করছেন তারা তিনি ও তার স্ত্রী। মুরগিগুলো যেন তাদের সন্তানের মতো। প্রতিটি খামারের মুরগি সতেজ ও সবল।
খামারী আতিয়ার রহমান বলেন, ২০১৭ সালে বিদেশে যাওয়ার জন্য আমি দালালের খপ্পরে পড়ে ১১ লাখ টাকা খুয়িয়েছি।
তারপর গিয়ে সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি ৪-৫ মাস । সেখানেও আমি কাজ হারিয়ে দেশে ফিরি খালি হাতে। তারপর দুঃশ্চিতার মাঝে আমার জীবন কাটতে থাকে । এরই মাঝে আমি ২০১৮ সালে মাগুরা শহরের একটি দোকানে ৩ মাস কাজ করি। সেখানেও পরিশ্রম বেশি হওয়ায় কাজ ছেড়ে দিই। ফলে জীবন সংগ্রামের কঠিন পর্যায়ের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয় আমার।
নিজের বাড়ি ছাড়া সামান্য ফসলি জমি আছে আমার। সেখানে যা চাষ হয় তাতে সংসার চলে না। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ছোট মুরগির খামার গড়ি। বাকীতে ২ লাখ টাকার সোনালী মুরগির বাচ্চা তুলি সেই খামারে। নিজ আর্থিক সংকট থাকার কারণে খামারে কোনো বাইরের শ্রমিক রাখতে পারিনি। ফলে স্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে কাজ শুরু করি। শুরু হয় খামারের বাচ্চার পরিচর্যা।
এভাবে ধীরে ধীরে ৬৫ দিনে মুরগিগুলো পরিপূর্ণ হয়। প্রথম বছরে ১ লাখ টাকা লাভ করি। পরের বছর শুরু হয় করোনা। এ করোনাকালীন সময়ে আমি বিচলিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে যায় ।
ফলে সেই বছরেও আমি সফল হই। এরপর গড়ে তুলি আরেকটি খামার। এবার সেই খামারে ৫ হাজার বাচ্চা তোলা হয়। সেই বছর আমি খামার থেকে আয় করি আড়াই লাখ টাকা ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়