চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

মিয়ানমারে মঠে জান্তার হামলায় নিহত ২৮

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের নান নেইন গ্রাম ও সেখানকার একটি বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা। গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ঘটা অতর্কিত সেই হামলায় বৌদ্ধ মঠ ও তার আশপাশের এলাকায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। শান ও পার্শ্ববর্তী কিয়াহ প্রদেশে সক্রিয় জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন্নি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্সের একাধিক নেতা (কেএনডিএফ) এবং ক্ষমতাসীন জান্তার একজন মুখপাত্র বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলা পরবর্তী একটি ভিডিওচিত্রও বিবিসিকে সরবরাহ করেছে কেএনডিএফ। সেই ভিডিওচিত্রে ২১ জনের মরদেহ দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন কমলা রঙের কাষায়বস্ত্র (বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পরিধেয় বস্ত্র) পরিহিত ছিলেন। অর্থাৎ নিহতদের মধ্যে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরাও আছেন। বাকি ৭ জনের দেহ মঠ সংলগ্ন আশপাশের এলাকাগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কেএনডিএফের নেতারা জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মিয়ানমারের বিমান বাহিনী গ্রামটির আকাশ সীমায় প্রবেশ করে কয়েক দফা গোলাবর্ষণ করে। গ্রামবাসীদের অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে এ সময় পার্র্শ্ববর্তী জঙ্গলে আত্মগোপন করেন এবং বেশ কয়েকজন সেই মঠে আশ্রয় নেন।
বিমান বাহিনী এরপর সরাসরি সেই মঠের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে। তার ফলেই ঘটে হতাহতের এই ঘটনা। প্রদেশের সীমান্তবর্তী নান নেইন গ্রামটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রামের ভেতর দিয়েই অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ আসে কেএনডিএফের। এ কারণে এই গ্রামটি আগে থেকেই জান্তার বিশেষ নজরে ছিল।
মিয়ানমারের স্থানীয় পত্রিকা কান্তারওয়াদি টাইমসকে কেএনডিএফের এক মুখপাত্র বলেন, ‘একদল মানুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করলে যে অবস্থা হয়, (বিমান বাহিনী হামলা চালানোর পর) মঠের চিত্রও ছিল অনেকটা সে রকম।’
কেডিএনএফ মিয়ানমারের একটি শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। শান ও কিয়াহ প্রদেশ মূলত এই সংগঠনই নিয়ন্ত্রণ করে। প্রদেশের সীমান্তবর্তী নান নেইন গ্রামটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রামের ভেতর দিয়েই অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ আসে কেএনডিএফের। এ কারণে এই গ্রামটি আগে থেকেই জান্তার বিশেষ নজরে ছিল।
ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীও শনিবারের হামলার ঘটনা স্বীকার করেছে। নান নেইন গ্রামের নিকটবর্তী সাউং পিয়াং সেনানিবাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ‘কারেন্নি গোষ্ঠী কয়েকটি গ্রাম দখল করেছিল। তাই মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়