চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

ভিএআর নাটকে বার্সার জয়

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ২০১৭ সালে জনসম্মুখে আসলেও বেশি আলোচিত হয় কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জয় করা আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে নিখুঁত অফসাইড নির্ণয় করার পর। এরপর কাতার বিশ্বকাপে আরো কয়েকটি অফসাইড এবং গোলের জন্য আলোচিত হয় এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বিশ্বকাপে মেসিদের প্রথম ম্যাচে আটকে দেয়া সেই প্রযুক্তির কল্যাণেই গতকাল লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় পেল লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা। জয়সূচক একমাত্র গোলটি বার্সার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ভিএআরের কল্যাণে। আবার শেষ মুহূর্তে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের করা একটি গোল বাতিলও করে ভিএআর। এই গোল বাতিল করা না হলে ম্যাচটি হয়তো সমতা নিয়েই শেষ হত। শেষ পর্যন্ত কাতালোনিয়ার ক্লাব বার্সেলোনা ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা দেখায় অ্যাথলেকিট বিলবাও। প্রথমদিক থেকেই বার্সার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যস্ত রাখছিলেন বিলবাওয়ের আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। তবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটা প্রথম বার্সার হাতেই ধরা দেয়। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে বিলবাওয়ের ডি বক্সের ডিফেন্স ভেদ করা থ্রু থেকে বল পেয়ে যান পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোভস্কি। বল পায়ে দারুণ গতিতে এগিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তবে বিলবাও গোলরক্ষক এগিয়ে আসাতে তাকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন লেভা।
এরপর সুযোগের খরায় ভোগতে থাকে কোচ জাভি হার্নান্দেজের দল। অন্যদিকে বিলবাও প্রথম দিকের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে তারা এর সুফলের খুব কাছ থেকে ব্যর্থ হয়। ইনিয়াকি উইলিয়ামসের এক দুর্দান্ত শট আটকে দিয়ে বার্সার জাল রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। পরের মিনিটেই ফের বার্সার রক্ষণভাগ হানা দেন বিলবাও স্ট্রাইকাররা। তবে রাউল গার্সিয়ার হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে বেঁচে যায় কাতালান জায়ান্টদের জাল। দুই দল সমান তালে আক্রমণ করতে থাকায় খেলা বেশ কিচুক্ষণ মাঝমাঠেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে যখন মনে হচ্ছিল গোলশূন্যতা নিয়েই দল দুটি প্রথমার্ধ শেষ করবে সেই মুহূর্তেই গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বার্সার স্কোরবোর্ডে গোলটি যোগ করেন ব্রাজিলিয়িান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। গোলটি তৈরিও করেন তিনি নিজেই। তার ক্রস করার চেষ্টায় বিলবাওয়ের এক খেলোয়াড় বাধা দেয়ার চেষ্টায় মাথা লাগায়। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে বল চলে যায় সের্হিও বুসকেতস এর কাছে। বার্সা অধিনায়ক বল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ডান প্রান্তে ফাঁকা স্থানে দাড়িয়ে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দিকে বল পাস করেন। বল পেয়ে ডান পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেও হতাশ হতে হয় তাকে। কেন না গোল হওয়ার পরমুহূর্তেই লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা উঠে যায়। এরপর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর গোলের সংকেত দেন রেফারি। বিলবাওয়ের ফিরে আসা দেখা যায় ৮৮ মিনিটে। সেই সময়ে ইনিয়াকি উইলিয়ামসের গোলে সমতা। উল্লাসে মাতলেন বিলবাওয়ের সমর্থকেরা। ২ মিনিট পরেই ভিএআরের সিদ্ধান্তে বদলে গেল সব। ভিএআর জানায় গোলের বিল্ডআপে বিলবাওয়ের ইকার মুনিয়াইনের হাতে লেগেছে বল। তাই গোলটি বাতিল করেন রেফারি। এরপর বাড়তি ৭ মিনিট যোগ করা হলে সেই সময়ের তৃতীয় মিনিটে আবারো নাটক। কীভাবে কীভাবে যেন বার্সেলোনা বেঁচে গেল গোল খাওয়া থেকে। দুবার হয় হয় করেও গোল হলো না। একবার বার্সার ডিফেন্ডাররা ও পরেরবার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন গোল লাইন থেকে বাঁচান দলকে।
পাঁচ মাস আগে গত অক্টোবরে এবারের লা লিগায় প্রথম দেখায় অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা। সেই ম্যাচটি ছিল বার্সেলোনার ঘরের মাঠে। কাতালান পরাশক্তিরা সেই ম্যাচের আগে-পরে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয়স্থানে ছিল। পরের পাঁচ মাসে বার্সার সময় বদলেছে অনেটাই। প্রথমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও পরে ইউরোপা লিগ থেকেও ছিটকে পড়ে দলটি। তবে লা লিগায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীর্ষে জাভির বার্সেলোনা। রোববার রাতে বিলবাওয়ের ঘরের মাঠে লিগের ফিরতি ম্যাচটিও জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আরো জাঁকিয়ে বসেছে চার মৌসুম আগে সর্বশেষ লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বার্সা। ১-০ গোলের জয়ে নিকটতম দল রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৯ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে এগিয়ে থেকেই সপ্তাহটা শেষ করল ২৫ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট পাওয়া বার্সেলোনা। সমান ম্যাচ খেলে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৬।
আরেকদিকে সিরি আ’তে স্যাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জুভেন্টাস। মাত্র ১১ মিনিটেই ব্রেমারের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর ২৬ মিনিটে তাদের স্কোরবোর্ডে আরেকটি গোল যোগ হয়। তবে ৩১ ও ৩২ মিনিটে টানা দুটি গোল করে সমতায় ফেরে স্যাম্পদরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে র‌্যাবিয়টের গোলে ফের লিড নেয় জুভেন্টাস। এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি স্যাম্পদরিয়া। বরং নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল হজম করে দলটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়