ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দীঘিরপাড় এলাকার বালুদস্যুদের থাবায় প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। ফলে অর্ধশত কৃষক তাদের ফসলি জমি চাষাবাদ না হওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় বালুদস্যুরা বালু উত্তোলনের নাম করে অসহায় কৃষকদের আবাদি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ৫/১০ ফুট গর্ত করে অবাধে মাটি কেটে নেয়ায় চাষাবাদ অনুপযোগী হয়ে পড়ছে জমিগুলো।
দীঘিরপাড় এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভেকু দিয়ে ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে।
এতে কৃষকদের জমিগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলন করার কথা নদী থেকে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা তাদের জমির উপর থেকে মাটি কাটা বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
দীঘিরপাড় গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, দেশ স্বাধীনের পূর্বে দীঘিরপাড় এলাকায় মহারশি নদীটি ভাঙনের কবলে পড়ে অর্ধশত কৃষি জমি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন কবলিত এলাকার জমিগুলো কৃষকদের নামে সিএস, আরো আর রেকর্ড থাকলেও নদী ভাঙনের কারণে বিআরএস সরকারের নামে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে জমিগুলো আবারো জেগে উঠে। সমতল ভূমিতে পরিণত হয় এলাকা। এরপর ওই জমির মালিকরা জমিগুলো চাষাবাদ শুরু করে। ওই জমি চাষাবাদ করেই এখন সংসার চালান কৃষকরা।
দীঘিরপাড় গ্রামের কৃষক নাজিমুল হকসহ অন্যান্য কৃষকরা বলেন, গত প্রায় এক মাস ধরে স্থানীয় কতিপয় প্রভাশালী ব্যক্তি মহারশি নদীর বালু মহালের ইজারাদারের যোগসাজশে ওই সব ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ভেকু দিয়ে অবাধে মাটি কেটে নেয়ার ফলে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কোনো বাধা নিষেধও মানছে না তারা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষকরা। শুধু তাই নয়, মাহিন্দ্রযোগে এসব মাটি পরিবহনের ফলে দীঘিরপাড় থেকে ঝিনাইগাতী সদর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কাচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আগামী বর্ষায় মহারশি নদী ভাঙনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের দ্বারে ঘুরেও কোনো ফল পাননি তারা।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, ভেকু দিয়ে মাটি কাটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।