চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

গোপালনগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৩৩ বছরেও মেলেনি ভবন টিনশেডে চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে গোপালনগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ৩৩ বছর ধরে এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই বিদ্যালয়টি। তবে ৩৩ বছরেও মেলেনি ফ্যাসিলিটিস ভবন বা সরকারি কোনো সহযোগিতা। তাই জরাজীর্ণ টিনশেড এবং সোহরাব হোসেন পাঠাগারে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টি হলেই টিনশেড ঘরে পানি পড়ে কাদামাটিতে পরিণত হয়। সাত গ্রামের প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে এই বিদ্যালয়ে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতারা একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে বিদ্যালয়ের পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহ ও এলাকায় জ্ঞান বিস্তারের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের পাশে গড়ে তোলা হয় সোহরাব হোসেন পাঠাগার। কিন্তু শিক্ষা বিস্তারে ৩৩ বছর পার হলেও বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে এখনো পর্যন্ত পায়নি সরকারি কোনো সহযোগিতা বা ফ্যাসিলিটিস ভবন।
সরজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী রয়েছে। আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, সততা স্টোর ও শহিদ মিনার। বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘরটি জরাজীর্ণ হওয়ায় পাশেই অবস্থিত সোহরাব হোসেন পাঠাগারকে ৩টি কক্ষ করে একটিতে শিক্ষক মিলনায়তন ও অফিস কক্ষ, বাকি দুটি কক্ষে চলছে পাঠদান। অপর ১টি শ্রেণির পাঠদান চলছে জরাজীর্ণ সেই টিনশেড ঘরে। যেখানে জানালা নেই। চালার টিনে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ জাতীয় প্রোগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে থাকে বিদ্যালয়টি।
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরজাহান, ফাহিম, জোসনা ও দিবাসহ কয়েকজন জানায়, গরমের সময় টিনশেড ঘরে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হয়। বেশি সমস্যা হয় বৃষ্টির দিনে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতরে পানি পড়ে বই-খাতা ও ব্যাগ ভিজে যায়। এছাড়া ঝড়ের সময় তাদের ভয়ে থাকতে হয়।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. খবিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরম ও ঝড়-বৃষ্টির সময় আমাদের বেশি সমস্যা হয়। ঘরের ভেতর পানি পড়ায় পাঠদানে ব্যাহত হয়। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। যদি সরকারিভাবে একটা ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা হতো, তাহলে এলাকায় মানসম্মত শিক্ষাদানে গোপালনগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রধান শিক্ষক রওশন আরা পারভীন বলেন, কয়েক গ্রামের প্রায় দেড়শ ছেলেমেয়ে এই বিদ্যালয়ের ৩টি শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আছে। এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
তবে গরম ও বৃষ্টির দিনে জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে পাঠদানে খুবই অসুবিধা হয়। সরকারিভাবে একটি ভবন নির্মাণ করা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়