চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : সাবেক ভিসি-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অপরাধে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. শহিদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহার আনোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান অভিযোগটি আমলে নেন। পরে তিনি সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত করার আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে ২০২১ সালে কর্মরত ছিলেন। মামলার ১নং আসামি মো. শহিদুর রহমান খান, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কন্ট্রোলার বোর্ডের প্রধান এবং ২নং আসামি খন্দকার মাজহার আনোয়ার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১নং আসামি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম তলায় অফিস ও বাসা পাশাপাশি, সেখানেই থাকতেন। সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ২নং আসামি বাদীকে ১নং আসামির খাওয়ার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। বাদী প্রতিদিন ১নং আসামির অফিসে খাবার পৌঁছে দেন। সেই সুবাদে ১নং আসামি, বাদীকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। বাদী তার কোনো কথায় রাজি না হয়ে ২নং আসামিকে বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাবার দিতে এলে ১নং আসামি পরিকল্লিতভাবে
২নং আসামির সহযোগিতায় বাদীকে ধর্ষণ করেন। ২নং আসামি তখন অফিসের বাইরে ছিলেন। বাদী বেরিয়ে আসার সময় ২নং আসামি তাকে বলেন যে, আজকের ঘটনা তুমি কাউকে বলবে না, তাহলে তোমার চাকরি থাকবে না। আর স্যারকে বলে স্যারের সঙ্গে তোমার বিয়ে দিয়ে দেব। তুমি তোমার স্বামীকে তালাক দিয়ে দাও।
বাদী চাকরির কথা বিবেচনা করে ও সামাজিক অবস্থান লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু জানান না। ১ ও ২নং আসামির কথামতো বাদী তার স্বামীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন ২নং আসামি বাদী ও ১নং আসামিকে বিবিয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য ১০০/-(একশ) টাকার তিনটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ১নং আসামি নিজ হাতে একটি অঙ্গীকারনামা লিখে ২নং আসামিকে দিলে তিনি তা বাদীকে প্রদান করেন। তখন বাদী তার স্বামীকে তালাক দেন। তখন ১নং আসামি বাদীকে বিয়ে না করে আজ কাল একথা সেকথা বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাদীকে ভুল বুঝিয়ে, বাদীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে খুলনা থেকে ১ নং আসামি বদলি হয়ে যান এবং গত ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে বাদীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কোনো উপায় না দেখে তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়