চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

কোনো চাপে মাথা নত করব না > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা কোনো চাপে মাথা নত করে না। এমন কোনো চাপ নেই যেটা আমাকে টলাতে পারে। আমার শক্তি জনগণ আর আল্লাহ। আমার মাথায় আছে বাবার হাত। কে কি চাপ দিল- এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার সেটাই করব।
গতকাল সোমবার বিকালে গণভবনে কাতার সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিস্তারিত লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি অপশক্তি উন্মুখ হয়ে আছে। এতে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিনা- সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। ড. ইউনুসকে নিয়ে ৪০ বিশ্ব নাগরিকের নাম ব্যবহার করে যে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। তাতে আমাদের করার কিছুই নেই। আমাদের দেশে সবকিছু আইন মেনেই চলে। রোজায় কোনো খাদ্য সংকট হবে না। বেশি খাবার কিনে কেউ মজুত করবেন না। গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ ব্যাবহারে মিতব্যায়ী হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম।
নির্বাচনে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এরকম বহু চাপ ছিল। পদ্মা সেতুর আগে তো কম চাপ দেয়া হয়নি। কোনো একটা দেশের সেই রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে টেলিফোনের পর টেলিফোন! কেন?

একটা ভদ্রলোক, তাকে একটি ব্যাংকের এমডি পদে রাখতে হবে। এমডি পদে কী মধু তা তো আমি জানি না। আইন আছে, ৭০ বছর বয়স হয়ে গেছে, তারপরও এমডি পদে থাকতে হবে। একটাই সুবিধা, এমডি পদে থাকলে মানিলন্ডারিং করা যায়। পয়সা বানানো যায়, পয়সা মারা যায়, গরিবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়। সেই চাপ কিন্তু শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে আসছে। তারপর পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখালাম। ওই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না।
ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০ বিদেশির বিবৃতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিবৃতি না, এটা একটা বিজ্ঞাপন। যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে একজন বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে এর উত্তর কী দেব, জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামিদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। তিনি বলেন, যে যাই হোক। দেশে কতগুলো আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। শ্রমিকদের অধিকার আমরা রক্ষা করি, ট্যাক্স বিভাগ আছে আলাদা। তারা সেটি আদায় করে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে। এক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি, এটুকুই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।
আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা হলে তা মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এজেন্সি উন্মুখ হয়ে আছে। ৪০ জনের নামে যেটা এসেছে, ওটার পেছনেও কিছু অ্যাম্বিশন আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যাদের ইচ্ছা, তারা জনগণের কাছে যাবে। নির্বাচন যাতে অবাধ-সুষ্ঠু হয়, তার জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংশোধনী বা সংস্কার আনা হয়েছে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশের অবস্থা চিন্তা করেন কী ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যে সন্ত্রাস, সংঘাত, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, সেটি যদি ভেবে দেখেন…। ২০০৬ সালের পর ভোটারবিহীন ভোটার তালিকা, ২০০৭-এর নির্বাচন। এই ঘটনাগুলোর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্যই আমরা এই সংস্কারগুলো করে দিয়েছি। এখন জনগণের ওপর নির্ভর করে, তারা কীভাবে চায়? নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের সবসময়ই আছে, জনগণ যেন ভোট দিতে পারে।
নির্বাচনে ইভিএমে ব্যবহারের প্রসঙ্গ এনে শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন। ৭৫’র পর যে ধরনের নির্বাচন হয়েছে; আর আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে নির্বাচন হয়েছে- তাতে করে অন্তত তখনকার মতো ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল, কারচুপির সুযোগ এখন নেই। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আছে, সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার সুযোগ নেই। ইভিএম করতে চেয়েছিলাম, কারণ সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেবে, সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল পাবে। এখন এসব নির্বাচন কমিশনের ওপর, তারা যতটুকু পারে করবে। পুরোটা করতে পারলে ভালো হতো অন্তত মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারত, একটা আধুনিক পদ্ধতি মানুষ ব্যবহার করতে পারত। সেটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, আমরা এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
রমজান সামনে রেখে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে জানিয়ে সবাইকে বেশি কিনে মজুত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের একটা প্রবণতা থাকে, জিনিসের দাম বেড়ে যাবে, আমরা অনেক কিনে ঘরে মজুত করি। আপনারা কেউ খাবার কিনে মজুত করতে যাবেন না, যখন যেটুকু দরকার সেটা বাজার থেকে নেবেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু আছে- মজুতকারী, তারা মজুত করে রাখার চেষ্টা করে। আর আমাদের কিছু কিছু বিরোধী দল তো আছেই, সব জয়গায় ঝামেলা পাকানোর জন্য একটা চেষ্টা। কথায় কথায় কোনো একটা কথা ছড়ালো, মিথ্যা একটা ধোঁয়া তুললো। সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, এগুলো তো হবেই, এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় রমজান মাসে তার জন্য যথাযথ চেষ্টা আমরা করছি। সবাই সহযোগিতা করলে বাংলাদেশে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
সংলাপ করা না করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংলাপ কার সঙ্গে করব? ২০১৮ সালে সংলাপ করলাম। কী রেজাল্ট হলো? যারা আমার বাবা-মা, ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে। ছেলের মৃত্যুতে একজন মা হিসেবে আরেকজন মাকে (খালেদা জিয়া) সান্ত¡না দিতে গেলাম। তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল। পকেট গেট দিয়ে যেতে চাইলাম, সেটাও তারা বন্ধ করে দিল। যারা আমাকে বারবার হত্যা করতে চায়। এরপরও আমি তাদের সঙ্গে সংলাপ করেছি। কী কারণে- শুধু দেশের মানুষের জন্য, দেশের স্বার্থে। আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এত অপমানের পরও তাদের সঙ্গে কী সংলাপ করব? তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। তার ভাই-বোন আমার কাছে ও রেহানার কাছে এসে অনুরোধ করল তার সাজা স্থগিত করার জন্য। আমরা মানবিক বিবেচনায় সেটা করলাম। এরপরও তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে?
উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দূর হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নেই। সমবায় প্রতিমন্ত্রীকে পাঠিয়ে বিভিন্ন জায়গার তথ্য আমি জেনে নিই। কোথাও মানুষ কোনো সমস্যায় আছে কিনা। এখন সেটা আর নেই। কুড়িগ্রামে কিছুটা সমস্যা ছিল। সেখানেও আমি কৃষক লীগের এক নেতাকে পাঠিয়েছি যে সেখানে গৃহহীন কেউ আছে কিনা। এরপর সেখানে আমি যাব। মানুষ কিন্তু এখন মনে করে আওয়ামী লীগই সরকারে থাকা উচিত। এটা বগুড়ার সাধারণ মানুষও মনে করে। হয়তো তারা সবাই যে আমাদের দলের, সেটাও না। অন্য দল করলেও তারা মনে করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা উচিত।
ওয়ান ইলেভেনে কারাগারে থাকাকালীন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে নিজের পরিকল্পনা সাজানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীনও আমরা কীভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে ভাবতাম। একইসঙ্গে কর্মপরিকল্পনাও সাজাতাম। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনে যখন আমকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয় তখন আরো বেশি করে সুযোগ পেতাম। কী করলে দেশ উন্নত হবে, কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। দেশের কল্যাণ কীভাবে করা যায়। তা লিখে রাখতাম। আজকে দেশের জন্য যা করছি তা কিন্তু কারাগারে বসেই পরিকল্পনা করেছি। কাজেই কারাগারে গেলে একটু লেখালেখির সুযোগ পাওয়া যায়। রাজনীতিবিদরা কারাগারে থাকলে একটু লেখার সুযোগ পায়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি খাতে কাতারের সঙ্গে সহযোগিতা দীর্ঘমেয়াদের। ১৪ বছরের একটা চুক্তি আছে। সবার কাছে অনুরোধ বিদ্যুৎ ব্যাবহারে সবাই সাশ্রয়ী হোন। এতে খরচও কম হবে। নিজেরাও লাভবান হবেন। এসময় জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল, এটা আবার রাজনীতি হয় কী করে। এই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেই কিন্তু তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়ার মন্ত্রীরাও। তারপরও তারা যদি এটাকে রাজনীতি বলে তাহলে আমার মনে হয় জনগণই বিচার করবে। এটা জনগণের সঙ্গে মুনাফেকি ছাড়া আর কিছু না। অস্ত্র চোরাকারি ব্যবসাটাই হচ্ছে তাদের ব্যবসা। আর সেটাকে তারা রাজনীতি হিসেবে দেখাতে চায়। খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের লুটপাট-দুর্নীতির কথা আমাদের নয়, এটা আমেরিকা-সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে। এমনকি তাদের পাচার করা ৪০ কোটি টাকা কিন্তু বাংলাদেশ উদ্ধার করে ফেরত এনেছে। এ কথাটা বোধহয় সবার মনে রাখা উচিত। সেটাকেও তারা রাজনৈতিক বলবে?
এ সময় নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন পোড় খাওয়া মানুষ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসেও চাকরি করেছেন। বিএনপির আমলে বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তেও হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার মাঝে ওই দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে। তারও সবসময় এই প্রচেষ্টাই থাকবে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের একার নয়, সবার। সবাইকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে। সত্যের জয় হয়। এটা কেউ ঢাকতে পারে না। এটা আমি বিশ্বাস করি।
৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি- এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কোনো চমক কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ ববি ফুল দিতে গেছে পরিবারের পক্ষ থেকে। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা আকাক্সক্ষা নিয়ে যায়নি। শেখ রেহানা আমার ছোট বোন। আমাদের পাঁচ ছেলে-মেয়ে। তারা কিন্তু আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজ স্টার্টআপ প্রোগ্রাম, ইয়াং বাংলা, সিআরআইয়ের মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ যত রকমের কাজ আছে তারা করে যাচ্ছে দেশের স্বার্থে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা উপভোগ করছি। সেখানে তাদের সবারই কিন্তু কিছু না কিছু অবদান আছে। তারা কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ওই রকম কোনো রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা নিয়ে কাজ করেনি। এখন পর্যন্ত তাদের দলেরও সদস্য করা হয়নি। তারা দলের কাজের মধ্যেও আসে না। তারা রাজনৈতিক অভিলাষ নিয়ে কাজ করে না। জনগণের স্বার্থে করে, দেশের স্বার্থে করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়