চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ : আইএসপিএস কোডের বাস্তবায়ন জরুরি

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন সাবেক ডিজি শিপিং ও চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের প্রেসিডেন্ট কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ। ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরতো কেপিআই (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। সেখান থেকে কীভাবে কন্টেইনার পাচার হয়? বিভিন্ন মিডিয়াতে যা দেখেছি- তাতে দেখলাম বন্দরের সিকিউরিটি বিভাগের লোকজনও এর সঙ্গে জড়িত, এটি খুব দুঃখজনক ও খুবই উদ্বেগজনক।
জোবায়ের আহমদ বলেন, বন্দর থেকে কন্টেইনার পাচার হয়ে যাওয়া, কন্টেইনারের ভেতরে ঢুকে জাহাজে করে মানুষ বিদেশে চলে যাওয়া, কন্টেইনারভর্তি মাদক বন্দরের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই শুভলক্ষণ নয়। এ ধরনের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি এবং বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ যিনি চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজেকেই করতে হবে। কোনোভাবেই দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক যে আইএসপিএস কোড (ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি) সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করতে হবে। যতদূর বুঝেছি ও জানি, সেই সফটওয়্যার সম্ভবত অকার্যকর। কারণ সেটি চালু থাকলে কোথায় কোন কন্টেইনার রয়েছে তা যাচাই করা যায় অত্যন্ত দ্রুত। এটি খুবই জরুরিভাবে কার্যকর করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বন্দরের নিজস্ব যে সিকিউরিটি টিম ও সিস্টেম রয়েছে তাকে গতিশীল ও আধুনিকায়ন করতে অবশ্যই স্পেশাল সিকিউরিটি ট্রেনিং এবং তা কিছুদিন পর পর সঠিকভাবে মনিটরিং করা দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বই আকারে সিকিউরিটি বিভাগের কাছে রাখা দরকার। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি, তা হলো বাংলাদেশ ও বন্দরের উন্নয়ন, নিরাপত্তাসহ সুনাম বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রæতিবান, দেশপ্রেমিক ও সৎ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।
নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো বেশি গতিশীল, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের একটি বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত আন্তরিক। সে ক্ষেত্রে এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদেরও সৎ, গতিশীল ও আন্তরিক হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়