চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। যেই ই-টোয়েন্টিকে ধরা হতো বাংলাদেশের দুর্বলতার জায়গা, সেই টি-টোয়েন্টিতেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে নতুন এক বাংলাদেশের দেখা পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথমবারের মতো কোনো ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেন টাইগাররা। আর এ সিরিজ জয়ে নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসান শান্ত। এছাড়া চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে না খেললেও মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টাইগারদের জয় পেতে বড় ভূমিকা রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টাইগারদের এ সাফল্যগাথা ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সোনার ছেলেদের নিপুণ ক্রিকেটশৈলীতে আমরাও উল্লসিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজের দুর্দান্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচেই টাইগারদের সামনে ছিল সিরিজ জয়ের হাতছানি। জয়ের লক্ষ্যেই টসে জিতে বোলিং নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাকি কাজটা করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। বলতে গেলে মিরাজ একাই ভেঙে দেন ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ম্যাচে ছিলেন না একাদশে, এই ম্যাচে ফিরেই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ খেলায় জয়ের জন্য ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধীরগতিতে রান তুললেও জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। মাঝে হঠাৎ উইকেট হারিয়ে কিছুটা শঙ্কা জাগলেও উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয়। এরপর সাফল্যের খাতায় একে একে নতুন সিরিজ যুক্ত হয়। দেশের বাইরে প্রথম সিরিজ জিতে নেয় ২০০৬ সালে। কেনিয়াকে তাদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারায় হাবিবুল বাশারের দল। এরপর ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জেতে ২০২১ সালের জুলাইয়ে। বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। মাত্র দুই যুগের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিগত কয়েক বছরে সমীহযোগ্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক সময় বাংলাদেশ বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলার আগেই হেরে যেত। এখন আমরা অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে মোকাবিলা করছি। তাদের সঙ্গে জয়ী হয়েছি একাধিকবার। স্বীকার করতেই হবে, টাইগারদের ক্রিকেট জ্ঞান-ধ্যান, সাহস, টেকনিক, আত্মবিশ্বাস ও দায়-দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়ে গেছে। বিশ্ব ক্রিকেটেই বাংলাদেশ এখন এক দুর্নিবার শক্তি। ক্রিকেটাররা যে বিশ্ব দরবারে শাসন করতে প্রস্তুত হচ্ছে, তাও বুঝিয়ে দিচ্ছে। এই জয়ের আনন্দে আত্মহারা হলে চলবে না, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগানোর দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে। জয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক- এই প্রত্যাশা ও শুভকামনা আমাদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়