মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

১০ দোকান ও ৬ বসতঘর ছাই

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১০ দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত শনিবার রাত ২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। অপরদিকে মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামে কৃষকের ৬টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। মশার কয়েল থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে গ্রামবাসী জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত ২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে তাদের মুদি দোকান ও গুদামসহ ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে চন্দন কুন্ডুর মুদি দোকান, বরুন কুন্ডুর মুদি দোকান ও মুদি মালের গুদাম, দেবাশিষের মুদি দোকান, শাহ আলম ডেন্টাল কেয়ার, উজ্জ্বল ফার্মেসি, প্রশিষ কুন্ডুর চাউলের আড়ৎ, গৌতম নাথের কাপড়ের দোকান, উজ্জ্বল শিকদারের ধান পাটের গুদাম এবং মনু মিয়ার মুদি দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে সব মিলে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাত ২টার দিকে প্রথমে বাজারের পাহারাদাররা জানতে পেরে মাগুরা ও যশোরের বাঘার পাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাহারাদার কর্মীরা ৯৯৯- এ ফোন করেন। আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে শালিখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রবিউল ইসলাম ও জিয়ারুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে গোয়ালঘরে মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কৃষক রবিউল, তার মা আঞ্জুমান আরা, আরব আলী ও জিয়ারুল ইসলামের ঘরসহ মোট ৬টি ঘর পুড়ে যায়। এ সময় গোয়ালে রাখা রবিউল ইসলামের ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১টি বিদেশি গরু ও একটি ছাগল মারা যায়। এছাড়া পরিবারের ৬টি ঘর পুড়ে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকলের গাড়ি গিয়ে আমুড়িয়া বাজারের উত্তর দিকে নির্মাণাধীন ব্রিজের কারণে গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। এর ফলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি আরো বেড়ে গেছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম টিপু জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আমুড়িয়া বাজারের উত্তরপাশে পৌঁছে। কিন্তু নির্মাণাধী ব্রিজটির পাশ থেকে প্রয়োজনীয় ডাইভারশন রোড না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে যেতে পারেননি। নির্মাণাধীন ব্রিজের কারণে আমুড়িয়া বাজারটির অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সোহাগুজ্জামান জানান, শনিবার রাত আড়াই টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরম বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অনুমান করা যাচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়