মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

বেহাল সড়কে লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : উত্তরে ভারত সীমান্ত দক্ষিণে উপজেলা সদর। উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র সড়কটি ইট বিছানো। এমনিতেই ভাঙাচুরা, আর গেলো বছর বন্যায় আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়কটি। দুপাশে হাওড় থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে বিলীন হয়েছে হাওড়ে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সড়কের ইট। সেতু, কালভার্টের উভয় পাশ থেকে সরে গেছে মাটি। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষকে যাতায়াত করতে হয় এই সড়কে। এ চিত্র সুনামগঞ্জ জেলার নবসৃষ্ট হাওর উপজেলা মধ্যনগরের একমাত্র সড়কটির। উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ও চামরদানী ইউনিয়নের জনগণকে এলজিইডির এ সড়ক ব্যবহার করেই মধ্যনগর উপজেলা সদরে যোগাযোগ করতে হয়। মধ্যনগর থেকে মহিষখলার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ওই তিনটি ইউনিয়নের জনগণ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার হাজারো মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙাচোরা এই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ বলেন, ‘এ উপজেলায় এখনো কোনো হাসপাতাল হয়নি। এখানকার অসুস্থ রোগী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা অথবা পার্শ্ববর্তী ধরমপাশায়। সড়কের এই বেহাল দশার ফলে, রোগীদের ওই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফলে অনেক সময় রাস্তায় রোগী মারা যায়।
উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় মধ্যনগর-মহেষখলা ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকালে হাওড়ের ঢেউয়ের কারণে সৃষ্ট ভাঙন ঠেকাতে পাকা ব্লকের পরিবর্তে জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা দেয়া হয়, যা নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে ঢেউয়ের আঘাতে ধসে পড়ে।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের কালাগড় গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘মধ্যনগরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মধ্যনগর উপজেলা বাস্তবায়ন হয়েছে। এই রাস্তাটি উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এটি যান চলাচলের উপযোগী নয়। যার দরুন সীমান্তবর্তী এলাকা মহিষখলা থেকে উপজেলা কেন্দ্রীক সেবা গ্রহণ করতে মধ্যনগর যাওয়া দুর্ভোগের নামান্তর। তাই অনতিবিলম্বে রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করা প্রয়োজন।
মধ্যনগর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী (অঃদাঃ) শাহাব উদ্দিন জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পুনঃনির্মাণের জন্য ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুত প্রাক্কালন তৈরি করে নতুন বাজার থেকে বাঙ্গাভিটা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ টেন্ডার এ যাবে। আশা করা যায় এই অর্থ বছরেই পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
উপজেলার চামারদানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু বলেন, ‘মধ্যনগর উপজেলার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক মেরামত করা হলে চারটি ইউনিয়নের মানুষের চলমান দুর্দশা লাঘব হবে।
‘মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘যাত্রাপথে মানুষকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়ছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়