মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

দশ সদস্যের তদন্ত কমিটি : ২০ ঘণ্টায় নিভল সীতাকুণ্ডের তুলার গুদামের আগুন

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে লাগা আগুন টানা প্রায় ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিতে হয়েছিল সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং বিজিবিকেও। গতকাল রোববার সকালে আগুন নির্বাপিত হয় বলে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আগুন নিভে গেছে। তবে এরপরও কিছু কিছু জায়গায় হালকা ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এর আগে গত শনিবার রাত ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবিসহ মোট ২২টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।
সেনাবাহিনীর ইউনিট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদের বরাত দিয়ে এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিটেক্সের গোডাউনে তুলার পরিমাণ বেশি (২৭০০ টন) হওয়ায় গোডাউনের এক অংশে আগুন নির্বাপণের পর সেটা স্তূপ হয়ে কিছুক্ষণ পর আবার স্তূপের নিচ থেকে আগুন আরেক অংশে ছড়ায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রায় ১০ একর আয়তনের গোডাউনের চারদিকের দেয়াল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে চতুর্দিক থেকে ফায়ার টেন্ডার (পানি ছড়ানোর মেশিন) প্রবেশ করানো হয়।
তুলার গুদামে আগুন নেভাতে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ছাড়াও সেনাবাহিনীর ৪টি, নৌবাহিনীর ৪টি ও বিমানবাহিনীর ২টি ইউনিট। পাশাপাশি বিজিবির ৪টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট কাজ করে। এছাড়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম ইউনিট সার্চ এন্ড রেসকিউ টিম (ইউএসএআর) উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি সবাইকে নিরাপদে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানান।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার নেমসন কনটেইনার ডিপোর পাশে অবস্থিত ইউনিটেক্স গ্রুপের ওই তুলার গুদামে আগুন লাগে। এসএল শিল্প গ্রুপের মালিকানাধীন ‘ইউনিটেক্স’ কারখানা ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদামটি ভাড়ায় নিয়ে তুলা রেখেছিল। আগুন লাগার পর প্রায় দশ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের সঙ্গে রাত ৯টায় যোগ দেয় সেনাবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং ইউনিট। এরপর নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। রাতে যোগ দেয় বিজিবিও। আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কথা জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, সেখানে ইউনিটেক্সের ২ হাজার ৭০০ টন তুলা গুদামে মজুদ ছিল। তুলা দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গুদামটির মালিক এসএল স্টিল করপোরেশনের লোকমান হোসেন। ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড নামে একটি সুতা তৈরির কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এটি ভাড়া দিয়েছেন। তুলাগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। তুলা যেখানে গুদামজাত করা হয়েছিল, তার পাশে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফুলিঙ্গ উড়ে এসে তুলায় আগুন ধরে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়