মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

খরায় চৌচির হাকালুকি হাওড়ের বোরো ক্ষেত : জমিতে পানি দিতে পারছেন না কৃষক

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ে পানির জন্য হাহাকার চলছে। খরায় হাওড়ের বোরো ক্ষেতের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বোরো জমিতে পানি দিতে পারছেন না। চাহিদা মতো পানি না পাওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ হারাতে বসেছেন অনেক কৃষক। হাওর তীরবর্তী কুলাউড়া অংশের কৃষকদের অভিযোগ, হাওড় ও কৃষকদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ক্রমান্বয়ে হাওড়ে বোরো উৎপাদন কমে আসছে। জানা গেছে, হাওড় অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক ও বর্গাচাষিদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল হাওড়ে উৎপাদিত বোরো ধান। ওই আয় দিয়েই তাদের পুরো বছরের সাংসারিক খরচ এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াসহ সব ব্যয় চলে। বোরো ফসলের শীষ বের হওয়ার সময় এসেছে। কিন্তু নদী, নালা কিংবা বিল- কোথাও পানি নেই। পানির জন্য হাহাকার করছেন কৃষকরা। বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন তারা। বোরো জমিতে সেচ দেয়ার মতো সুবিধা না থাকায় কৃষকরা ফিতা পাইপ দিয়ে ৩-৪ হাজার ফুট দূর থেকে জমিতে পানি দিচ্ছেন। যেখানে প্রতি ঘণ্টায় খরচ হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। আবার অনেক কৃষক টাকা খরচ করেও পানি পাচ্ছেন না। পানির অভাবে বোরো জমি ফেটে চৌচির। দীর্ঘ খরায় অনেক জায়গায় ফসল মরে যাওয়ার উপক্রম। ইজারাদাররা বিল শুকিয়ে মাছ নিধন করছে। যার কারণে বিলেও পানি পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় একদিকে কৃষকদের ব্যয় বাড়ছে অন্য দিকে ফসল উৎপাদন কমে আসছে। কৃষকরা জানান, ফানাই নদীতে পশ্চিম দিকের ভাটেরা ইউনিয়ন থেকে আন ফানাই এবং পূর্বদিক থেকে বান্না নদী এসে মিলিত হয়েছে। ওই ৩ নদীর মিলনস্থলের একটু নিচে চালিয়া এলাকায় স্লুইস গেট স্থাপন করলে ৩টি নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং কৃষরাও চাহিদা মতো বোরো জমিতে সেচ দিতে পারবে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ৫৭ হেক্টর। এর মধ্যে হাওড়ে চাষাবাদ হয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর। কৃষি অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাকালুকি হাওড়ে স্লুইচ গেট স্থাপনের বিষয়ে জেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করব এবং কিভাবে কৃষকদের বোরো উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়