মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি : আদানির সঙ্গে চুক্তিতে জনগণের লাভ হয়েছে

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু। জনগণের নির্বাচিত নয় এমন ব্যক্তির মাধ্যমে এক মুহূর্তের জন্যও রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী। অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় এলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে। তাছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে বিষয়টিকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে, সে পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।
গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিটি দেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া এতে স্বাক্ষর করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের রাজনীতি করে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস।

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আওয়ামী লীগ সবসময় ক্ষমতায় এসেছে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ কখনো জনগণ ব্যতীত অন্য কারো মুখাপেক্ষী হয়নি। যার ফলে দেশি-বিদেশি সুপরিকল্পিত ষড়ন্ত্রের মাধ্যমে অসংখ্যবার আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি আইএসআই থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল বলে কয়েক বছর আগে সে দেশের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনেও বিদেশি প্রভুদের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে কারচুপি করে ক্ষমতা দখল করেছিল খালেদা জিয়া। এবারো ক্ষমতা দখলের জন্য কীভাবে বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার মুচলেকা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারা কখনই জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেছেন। নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতে সরকার আদানির কাছ থেকে একটি লাভজনক চুক্তির করে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের একটি কোম্পানিকে দিয়ে ২ বিলিয়ন ডলার এককালীন বিনিয়োগ করিয়ে, ভারতের অভ্যন্তরে ৬০০ একর জমির উপর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানিয়ে, ভারতের আকাশে কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা সর্বনি¤œ দামে ক্রয় করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে এবং সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই এই চুক্তি হয়েছে। এতে জনগণ লাভবান হয়েছে। যারা বিদ্যুতের বদলে জনগণকে খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুতের দাবি করায় জনগণের উপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের মুখে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা মানায় না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে স্বৈরাচারের চেতনা প্রবাহমান। যারা একজন দুর্নীতিবাজ পলাতক খুনি আসামির জন্য দলীয় গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। কানাডার আদালত কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিই এ দেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায়। বিএনপি মানেই হলো- দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন-ধর্ষণ; সর্বোপরি জনগণের উপর নির্যাতন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়