মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

ইইউ রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক : আ. লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সেই বৈঠকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- সেটা খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছে দলটি। গতকাল রবিবার সকালে গুলশানের এবিসি হাউসে এ বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনায় এসেছে বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে আমির খসরু সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা তো সবকিছু জানেন যে, দেশের মানুষ যেভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দেশের বর্তমান অবস্থা ও নির্বাচন, সারা বিশ্বের যারা গণতান্ত্রিক দেশ আছে, সবাই নিবিড়ভাবে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর অংশ হিসেবে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) দেখছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থা কী? মানবাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেমন। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা কাজ করছে দেশের ভেতরে, দেশের বাইরে, সেটার ওপর তো স্বাভাবিকভাবে একটা দৃষ্টি তাদের আছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আজকে এই আলাপটা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আসাদুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন বৈঠকে। গুলশানের এবিসি হাউসে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে অবশ্য ইউরোপীয় কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
নির্বাচন নিয়ে কী আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশ যে সংকটের দিকে যাবে, এই শঙ্কা দেশের ভেতরে যেভাবে কাজ করছে, দেশের বাইরেও কাজ করছে।

এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) জানতে চাইছে যে, কীভাবে আগামী নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে, কীভাবে এটাকে নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করা যায়। সবার উদ্দেশ্য একটাই, বাংলাদেশের মানুষের যে চিন্তা যে এটাকে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ হবে, নির্বাচিত সরকার হবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচনাটা হচ্ছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ইইউ রাষ্ট্রদূতদের সেই অবস্থানও জানানোর কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, অবশ্যই বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- সেটা আমরা খোলাখুলিভাবে বলেছি। বিশ্বে যারা বাংলাদেশের ওপর নিবিড়ভাবে কাজ করছে, পর্যবেক্ষণ করছে, সবার কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বর্তমান দখলদার, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি, সরকার, সংসদ নির্বাচিত করতে পারবে না। এই বিষয়টা প্রতিনিয়ত যেভাবে বলা হচ্ছে, তাদের তা জানা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়