অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

৮০ বছরের বৃদ্ধার সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : ‘আনগো খরব কেউ নেয় না, কষ্টে আছি। কোন জমি-জমা নাই, পরের জায়গার এক কোনায় ঝুপড়ি ঘর কইরা থাহি। বৃষ্টি আইলে ঘরের চাল দিয়া পানি পড়ে কাপড়-ছোপর ভিজইয়া যায়। বৃষ্টি, বর্না আইলে ঘরে থাকতাম পারি না। মোগেরে থাহার জন্য একখান ঘর দিলে মন ভইরা দোয়া করতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর সবে পায় মোরা পাই না।’ এ আকুতি জানান ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধা বিবি হাজেরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুতুবা মিয়া বাড়ির তারিকুল আলম চৌধুরীর বাগানের এক কোনায় একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করে বিবি হাজেরা ও তার ছেলের বউ বিবি কুলসুম। বিবি হাজেরা বয়সের ভারে হাঁটতে-চলতে পারেন না। হাতগুলো কাঁপছে। যে স্থানে থাকতেন তাও মালিক পক্ষ জমি বিক্রি করে ফেলছে। এখন কোথায় যাবেন তা নিয়ে চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ। সরকার অনেককে ঘরসহ জমি দেয় এ কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঘর পাওয়ার জন্য আবেদনও করছেন। কিন্তু তদবির করার লোক নেই। কে তাদের ঘর দেবে, এ চিন্তায় পড়েছেন তারা। বিবি হাজেরার পুত্রবধূ কুলসুম বলেন, ‘আমার স্বামী তাজুল ইসলাম অসুখে পড়ে অচল হয়ে পড়ছে। কোনো কাজ-কাম করতে পারে না। কোনো ছেলে নেই। পরের জায়গায় কোনো রকম ঝুপড়ি ঘর তুলে বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে ছিলাম। যেই জমিতে ছিলাম তারাও জমি বিক্রি করে ফেলছে, এখানেও থাকতে পারব না। কই যামু দিশা পাই না। শুনছি প্রধানমন্ত্রী ঘর দেয়। এ কথা শুই না আবেদন করছি। কেউ ঘর পাওয়ার আশা দেয় না। কই যামু, কার কাছে যামু। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি আলী আজম মুকুলের কাছে একখান ঘর চাই। একখান ঘর দিলে সারাজীবন মন ভইরা তাদের জন্য দোয়া করমু।’
এ ব্যাপারে কুতুবা মিয়া বাড়ির সন্তান মো. মুনসুর আলম চৌধুরী জানান, তারা খুব কষ্ট করে এ বাগানের ভেতর থাকে। এদের কোনো জমি নেই। তারা সরকারি একটি ঘর বরাদ্দ পেলে খুবই উপকৃত হতো। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা অসহায়, গরিব মানুষ। কোনো জমিজমা নেই। পরের জমিতে কোনো রকম একখান ঘর তুলে থাকত। তাও ওই জমি বিক্রি করে ফেলছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে আবেদন করতে বলেছি। সরকারি একটি ঘর পেলে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক বলেন, আমি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে আছি। এ ধরনের আবেদন আসছে কিনা এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে যদি ঘর পাওয়ার উপযোগী হয়ে থাকে আমরা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ করা হলে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়