অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ডে এবার তুলার গুদামে আগুন : রাত সাড়ে ৯টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাইপাস রোড সংলগ্ন হিঙ্গিরিপাড়া এলাকায় লোকমানের মালিকানাধীন ইউনিটেক্সের কাছে ভাড়ায় চালিত তুলার গুদামে গতকাল শনিবার সকালে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।আগুনের হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর সপ্তাহ না পেরুতেই ফের এ অগ্নিকাণ্ড ঘটল। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে সকাল সোয়া ১০টার দিকে খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সীতাকুণ্ড, আগ্রাবাদ, কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে ৯টার দিকেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের লেলিহান শিখা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তুলার গুদামের সামনে থাকা নেমসান কন্টেইনার লিমিটেড থেকে যদি সময়মতো পানি নেয়া যেত, তাহলে হয়তো আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে তুলার গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ এর স্ফুলিঙ্গ তুলার মধ্যে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ভয়াবহ দাবানল। তুলার গুদাম সুপারভাইজার আলাউদ্দিন বলেন, এ গোডাউনে ৩০ হাজার টনেরও বেশি তুলা ছিল। স্থানীয় যুবক রুবেল বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু তারা দেরিতে আসার কারণে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আরো জানায়, এক সময় এ তুলার গুদামটি কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ডিপো ছিল। পরে এটি এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লোকমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার কাছ থেকে ইউনিটেক্স লিমিটেড কারখানার মালিক গুদামটি ভাড়া নেয়। এরপর তাদের নিজস্ব সুতা তৈরির কারখানার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে তুলা মজুত করা হয়।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে তুলার গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করে। একই সময়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও অগ্নিনির্বাপণ কাজে যোগ দেয়। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগ্রাবাদ থেকে ফায়ার সার্ভিস থেকে আরো একটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তুলার ডিপোর সামনে থাকা নেমসান কন্টেইনার লিমিটেড থেকে যদি সময়মতো পানি নেয়া যেত, তাহলে আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়