অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

সন্তানের অভিভাবকত্ব : মাকে দায়িত্ব দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে সন্তানের পরিচিতির ক্ষেত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখার নিয়ম করা হয়। যা কেবল কিছু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই নিয়ম সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার পাশাপাশি সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক হিসেবে মাকে দায়িত্ব এবং স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।
গতকাল শনিবার ‘সন্তানের উপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এক পদযাত্রায় এ দাবি জানানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীপক্ষ আয়োজিত এ পদযাত্রা শুরু হয় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেট থেকে। মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে তা শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে প্রচলিত অভিভাবকত্ব আইনটি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, দেশের নারী-পুরুষ, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সনদ (সিডও)- এর ১৬(চ) ধারায় সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে পিতা, মাতা উভয়ের সমান অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকার অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশে যে অভিভাবকত্ব আইন বহাল রয়েছে তা প্রণীত হয়েছে ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলে। কালের যাত্রায় আমরা এগিয়ে এসেছি ১৩৩টি বছর, বাস্তব পরিস্থিতি এবং নারীর জীবন-জীবিকায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। সুতরাং শতাধিক বছরের পুরানো চিন্তা-চেতনাপ্রসূত এই অভিভাবকত্ব আইনের পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে যেসব দাবি জানানো হয় সেগুলো হলো- কেবল শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই সন্তানের উপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার; অভিভাবকত্ব আইনে মা-বাবা দুজনের সমান অধিকার, অর্থাৎ বাবার মতো মা-ও তার সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক হবেন; অভিভাবকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভরণ-পোষণ দেয়ার সামর্থ্য প্রধান বিবেচ্য হবে না। মা অথবা বাবার মধ্যে যিনি সক্ষম তিনিই সন্তানের ভরণ-পোষণ দেবেন, উভয়ে সক্ষম হলে উভয়েই দেবেন, তাতে অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করবে না।
পদযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারী পক্ষের আন্দোলন সম্পাদক তামান্না খান, ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য ওয়ার্দা আশরাফ। পদযাত্রায় কমিটির অন্তর্ভুক্ত ৫২টি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, বয়স, বিভিন্ন লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়