অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

ঢাকায় মশা বেড়েছে ৮ গুণ : এডিস নয়, কিউলেক্স বেশি > নিধনের উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশা নিধন কার্যক্রমও খুব একটা চোখে পড়ছে না। দেশে এডিসবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে সন্তোষজনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। ডেঙ্গুতে দৈনিক মৃত্যুও নেমেছে শূন্যের কোঠায়। তবে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর।
স¤প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য সময়ের তুলনায় এ বছর ঢাকায় মশার লার্ভার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। উড়ন্ত মশার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। মাঠ পর্যায়ে মশার স্বভাব, ঘনত্ব, প্রজনন ও পরিবেশের সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক নিয়ে গত ৮ মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, মার্চে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছবে। গত বছরের জুন-জুলাইয়ের তুলনায় মার্চে মশার ঘনত্ব ৪ থেকে ৫ গুণ বাড়তে পারে। এই ঘনত্ব শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই হবে।
ঢাকার ৬টি স্থানকে সেন্ট্রিনাল সাইট হিসেবে নিয়ে নিয়মিত লার্ভা ও পূর্ণাঙ্গ মশার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে নিয়ে এসে পরীক্ষা করা হয়। গত ৮ মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তৈরি করা মডেল অনুসারে গবেষকরা বলছেন, মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হবে। অন্যান্য সময়ে (জুন-জুলাইয়ে) লার্ভার ঘনত্ব পেত প্রতি ডিপে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি, যা বর্তমানে ৫০-এর বেশি। আবার ম্যান পার আওয়ার উড়ন্ত মশার ঘনত্ব ওই সময় মিলত গড়ে ২০-এর কম, যা বর্তমানে ১৫০-এর বেশি।
মশা নিয়ে এই মুহূর্তে খুব বেশি ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা যে মশাগুলো দেখছি সেগুলো কিউলেক্স মশা, এগুলো শুধু মানুষের বিরক্তি তৈরি করে। চারপাশে ঘুরঘুর করে। আর কামড়ায়। এই মশাগুলো সাধারণত ময়লা-আবর্জনায় হয়ে থাকে। কিন্তু এডিস মশার উৎপত্তি জমানো পানিতে। এখন এডিস মশা এত বেশি নেই। তবে সামনে বর্ষাকাল, এপ্রিল থেকে হয়তো বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। বৃষ্টি হলেই এডিস মশা বাড়তে শুরু করবে। এজন্য এখন থেকেই

কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে।
মশার ঘনত্ব বাড়ার প্রসঙ্গে বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, শীত-পরবর্তী সময়ে পচা পানিতে জন্মানো কিউলেক্স মশার ঘনত্বই সবচেয়ে বেশি, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এই সময়ে কম। পাশাপাশি কিউলেক্স মশার কামড়ে যেহেতু ডেঙ্গু হয় না, তাই এই সময়ে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কাও আপাতত নেই।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রেন, ডোবা, নালা, খাল-বিল এগুলো হলো মশার আবাসস্থল। এখন মূলত কিউলেক্স মশার মৌসুম। এরই মধ্যে অনেক জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন খাল ও ডোবাগুলো পরিষ্কার বলে দাবি দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষেরই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়