অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

টঙ্গীবাড়ী : ইউপি পরিষদ নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একদিন। আগামীকাল সোমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে শেষ পর্যায়ে চলছে টাকার ছড়াছড়ি। শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নৌকার প্রার্থী সুমন হাওলাদার। নৌকা প্রতীক নিয়ে দলীয় লোকজনের বহর নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে নেই মো. মিজান মোল্লাও। সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শেখ সেলিম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে গোপন ভোট বিপ্লবের চেষ্টায় রয়েছেন, হাজী মো. মঞ্জর আলী আনারস প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি গত পাঁচ বছর যাবত নিয়মিত আছেন নিবাচনী মাঠে। আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত আলী আহম্মেদ শেখ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। মো. আলী জাফর রজনীগন্ধা ফুল নিয়েও নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের মনোনীত হলেও নৌকা পাননি তাই তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে মাঠে আছেন। অপর প্রার্থী বীর মক্তিযোদ্ধা মিলেনর রহমান (মিলন) চশমা, মোস্তফা শেখ হাতপাখা, আলী আহম্মেদ শেখের ছেলে সাগর আহম্মেদ শেখ টেলিফোন এবং অপর জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জর আলীর ছেলে শেখ ফরিদ হাসান টেবিলফ্যান। প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই কোটিপতি, ব্যক্তিগত ইমেজ বজায় রাখতে গোপনে টাকা দিচ্ছেন ভোটারদের। ভোটের মাঠে পাঁচগাঁও ইউনিয়নে আঞ্চলিক বিষয় ইতোপূর্বে প্রধান্য ছিল। এবার ইউনিয়নটির উত্তরে রয়েছে দুই পিতার দুই সন্তান সাগর ও ফরিদ। তারা মূলত ডামি প্রার্থী। নির্বাচনে এজেন্ট বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে তারা প্রার্থী হয়েছেন। ১০ প্রার্থীর মধ্যে সুমন হাওলাদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আর মোস্তফা শেখ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী। বাকি ৮ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাবেক দুই চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ শেখ ও শেখ সেলিমসহ বর্তমান চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলন নির্বাচনী প্রতিযোগীতায় রয়েছেন। ইউনিয়নটির সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন নির্বাচন বন্ধ থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপজেলার মধ্যে এককভাবে এখানে নির্বাচন হচ্ছে। ইউনিয়নটিতে ৩টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ১০জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আর ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বার পদে ৩৫জন প্রার্থী নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার এম.কে আহমেদ জানান, ইউনিয়নটিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। ৯ ওয়ার্ডে ১০ ভোটকেন্দ্র ১নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা বেশি থাকায় ২ ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়