অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

আহমেদাবাদে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে ভারত

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৮০ রানের দারুণ জবাব দিচ্ছে ভারত। গতকাল তৃতীয় দিন শেষে শুভমন গিলের সেঞ্চুরি ও বিরাট কোহলির অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ১৯১ রানে পিছিয়ে থাকলেও অজিদের মতো বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছে রোহিত বাহিনী।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত তৃতীয় দিন শুরু করে বিনা উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে। মাঠে নেমে দশম ওভারে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর ওয়ানডাউনে নামা চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করেন শুভমন গিল। পূজারা ৪২ রানে ফিরলেও ক্রিজে আসা কোহলিকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন গিল। ১৯৪ বলে দেখা পান শতকের। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ২৩৫ বলে ১২৮ রান করে। তিন উইকেট হারানোর পর ভারতকে পথ দেখান কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা। ৫৯ রানে কোহলি এবং ১৬ রানে জাদেজা অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন টড মার্ফি, নাথান লায়ন এবং ম্যাথু কুনেম্যান। এর আগে প্রথম ইনিংসে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে উসমান খাজার ১৮০ রানের পর ক্যামেরন গ্রিনের ১১৪ রানের সুবাদে ৪৮০ রান তোলে অজিরা। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এই টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করার পথে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন ভাতীয় ব্যটার বিরাট কোহলি। পঞ্চম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ঘরের মাঠে টেস্টে ৪,০০০ রানের মালিক হন তিনি। মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য কোহলির দরকার ছিল ৪২ রান।
কোহলির আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ঘরের মাঠে ৪,০০০ রান পূর্ণ করার কীর্তি গড়েছেন কেবল শচীন টেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সুনীল গাভাস্কার ও বীরেন্দ্র শেবাগ। দেশের মাঠে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৭,২১৬ রান সংগ্রহ করেছেন শচীন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫,৫৯৮ রান সংগ্রহ করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। কোহলি এখনো ক্রিজে থাকলেও দিনটা ছিল শুভমন গিলের। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের দেখা পান এই ওপেনার। সেঞ্চুরি করার পর গিল বলেন, ‘আহমেদাবাদে সেঞ্চুরি করতে পেরে দারুণ লাগছে। এটা আমার আইপিএল হোম গ্রাউন্ড এবং এখানে আমি সেঞ্চুরি পেয়ে বেশ খুশি। ব্যাট করার জন্য পিচ বেশ ভালো ছিল। পিচে যতটা বল ঘুরছে তা পিচের রাফ এলাকার জন্য হচ্ছে। আমি যখনই সম্ভব সিঙ্গেল নেয়ার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে আমি সব সময় পজিটিভ হওয়ার চেষ্টা করছিলাম এবং সিঙ্গেল খুঁজছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং অ্যাটাক তেমন আক্রমণ করেনি। আমরা প্রায় ৩০০ রানের কাছে পৌঁছে গেছি এবং মাত্র তিনটে উইকেট হারিয়েছি। আমরা চতুর্থ দিনে বড় স্কোর করতে চাই। কে জানে ম্যাচের পঞ্চম দিনে হয়তো উইকেট আমাদের বোলারদের সাহায্য করতে পারে।’ এটি ছিল ঘরের মাঠে বিরাট কোহলির ৫০তম টেস্ট ম্যাচ। এই টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করার সুবাদে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয় তার। ভারতের সাদা জার্সিতে দীর্ঘদিন পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। এই ফরম্যাটে কোহলি শেষ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের জানুয়ারিতে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২০১ বল খেলে ৭৯ রান করেছিলেন কোহলি। তারপর ১৫টি ইনিংসে অর্ধশত রান করতে পারেননি কোহলি। এর মাঝে ৪০ এর বেশি করেছেন মাত্র দুবার। ৪২৪ দিন পরে টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই ব্যাটার। তবে এই ইনিংসেও কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন কোহলি। শূন্য রানে টড মার্ফির বলে স্ট্যাম্পড হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়নি।
এছাড়া এই টেস্টে ৩৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতের সপ্তম ব্যাটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ হাজার রান পূর্ণ করেন এই অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে রোহিতের আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শচীন টেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও বীরেন্দ্র শেবাগ। রোহিত ২৪১টি ওয়ানডে ম্যাচে করেন ৯৭৮২ রান। পাশাপাশি ১৪৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করেন ৩৮৫৩ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত ৪৮টি টেস্টে রোহিতের সংগ্রহ ৩৩৪৪ রান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়