অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প কোন পথে

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

[পূর্ব প্রকাশের পর]

চলচ্চিত্রের গল্প নির্বাচন, চিত্রনাট্য রচনাসহ প্রি-প্রোডাকশনের প্রায় সব কাজ বাংলাদেশে তেমন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয় না। অথচ গল্প এবং চিত্রনাট্যের ওপর একটি ছবির সাফল্য ও সার্থকতা অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার কুরোশাওয়া বলেছিলেন : ‘একটি ভালো চিত্রনাট্য যদি তৃতীয় শ্রেণির একজন পরিচালকের হাতেও পড়ে, তাও একটি ভালো ছবি বেরিয়ে আসবে; কিন্তু একটি খারাপ চিত্রনাট্য একজন প্রথম শ্রেণির পরিচালকের হাতে পড়লেও তা থেকে কিছুতেই ভালো জিনিস বেরিয়ে আসতে পারে না।’
আমাদের দেশে চলচ্চিত্রের সব কর্মীর চেয়ে কাহিনী, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতাদের সম্মানী থাকে সবচেয়ে কম। একটি সাধারণ মানের গল্পও চিত্রনাট্যের গুণে চলচ্চিত্রের পর্দায় জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারে। অনেক দেশে চলচ্চিত্রের নির্মাতারা চিত্রনাট্য রচনার পশ্চাতে যে মেধা, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করেন আমাদের চলচ্চিত্রে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। উন্নত দেশের বাণিজ্যিক, এন্টারটেইনমেন্ট বা বিনোদন ছবির চিত্রনাট্য রচনার পূর্বে দর্শক আকর্ষণসহ চলচ্চিত্র বিপণনের ওপর যেমন গবেষণা করা হয় বাংলাদেশে নানা বাস্তবতার কারণেই তা সম্ভব হয় না। আমাদের চলচ্চিত্রের কাহিনীতে তাই ঘুরেফিরে বারবার আসে বাস্তবতা বর্জিত এবং এফডিসির চার দেয়ালের ভেতরকার কল্পিত এক উদ্ভট রকমের বেদে সম্প্রদায়ের গল্প। সাপের দুগ্ধপান, বাঁশি-বীণের সুরের আওয়াজ শোনে দ্রুত সাপুড়ের কাছে চলে আসা এবং সর্বোপরি বিষধর সাপের মনুষ্য জীবনপ্রাপ্তির মতো অবৈজ্ঞানিক অলৌকিকতায় ভরা ফ্যান্টাসি ‘সৃষ্টির’ দুর্মর ও প্রাণপণ চেষ্টা। কাহিনীতে ঘুরেফিরে বারবার আসে পুলিশ চরিত্রের মাহাত্মকীর্তন, সম্প্রতি এ ধারায় যুক্ত হয়েছে জজ-ব্যারিস্টার ইত্যাদি পেশাজীবী। আর ‘সামাজিক সেন্টিমেন্টাল অ্যাকশন’ ছবির তকমা নিয়ে চলচ্চিত্রের গল্প কাহিনীতে বারবার ঘুরেফিরে আসছে ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালির সেই একান্নবর্তী পরিবারের বিচিত্র সমস্যার চিত্র। যে একান্নবর্তী পরিবার ভাঙনের মূলে অত্যন্ত হেয় করে দেখানো হয় বিভিন্ন ধরনের নারী চরিত্রকে।
আমাদের দেশে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় নায়ক, নায়িকা, অ্যাকশন নামক হেতুক ও অহেতুক মারপিটের দৃশ্যের ওপর। এই প্রবণতার উদ্ভব যে আমাদের দেশে তা নয়। একদা, চলচ্চিত্রের নৃত্য ও গীতকে যতটা শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের প্রয়াস গ্রহণ করা হতো এখন সেই স্থলে যুক্ত হয়েছে উদ্ভট রকমের ‘মারপিট’! তামিল, তেলেগু, বলিউড, টলিউড হয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও মারপিট দৃশ্যের এমন অনুসৃতি লক্ষ করা যায়। নায়ক ভিলেনকে ধরে যখন আছাড় মারছে তখন কী বিচিত্র শিল্পগুণে ভিলেন ফুটবলের মতো লাফিয়ে ওঠে যাচ্ছে অনেক ওপরে! দর্শনতত্ত্বের ‘কার্য-কারণ’ সূত্রের কী বিচিত্র প্রয়োগ! এমন অদ্ভুত মারামারি কাটাকাটির সঙ্গে জুড়ে দেয়া নাচ-গান গল্পের কাহিনীর সঙ্গে বেমানান রূপে চলতে থাকে। আর ইদানীংকালের চলচ্চিত্রে প্রযুক্ত অসঙ্গতিপূর্ণ ভাঁড়ামোকেও আরোপিত বলে মনে হয়- মনে হয় জোর করে কৌতুক দৃশ্যের অবতারণা মাত্র। এভাবেই এদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের একটি ফর্মুলা গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে প্রতিষ্ঠিত এই তথাকথিত ফর্মুলাও একটি সংকট। জগদ্দল চেপে বসা এই ফর্মুলা-ধারণার আচ্ছন্নতা থেকে আমাদের চলচ্চিত্রকে মুক্ত করার মানসিকতা দরকার। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কিছু চলচ্চিত্র আমাদের মনে আশার সঞ্চার করে কেননা আমাদের কাছে সেসব চলচ্চিত্রের একটি স্বাধীন সত্তা অনুভূত হয়। কিন্তু সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো যখন একের পর এক বন্ধ হয়ে যায় তখন চলচ্চিত্রের মতো বৃহৎ একটি শিল্প কেবল ‘সামাজিক যোগাযোগ’ মাধ্যমের গণ্ডিতেই আবদ্ধ থাকবে ভেবে আমাদের ভরসাও হারিয়ে যায়।
সাধারণভাবে চলচ্চিত্র শিল্পে যে সংকট দৃশ্যমান তা হলো চলচ্চিত্র ও দর্শকের মধ্যকার দূরত্ব বা ব্যবধান। এই ব্যবধানকে সহজভাবে ‘জেনারেশন গ্যাপ’ বললেও ক্ষতি নেই। কেননা চলচ্চিত্র বৈশিষ্ট্যগতভাবে ‘সংযোগ মাধ্যম’ হলেও চলচ্চিত্র ও দর্শকের মধ্যে কার্যকর সংযোগ ঘটছে না। ফলে দর্শকের অভিযোগ ‘ভালো’ চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে না- অন্য পক্ষে নির্মাতারা বলছেন দর্শক হলে এসে ছবি দেখছে না। এরূপ পক্ষ-বিপক্ষের বাদানুবাদের ফাঁক গলিয়ে দেশের সিনেমা হলগুলো একের পর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে- বিলুপ্ত হয়ে গেছে! দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যাও। বাস্তবসম্মত গল্প কাহিনীর এবং আধুনিক প্রযুক্তির চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে না বলেই দর্শক আজ হলবিমুখ- চলচ্চিত্রবিমুখ। এ কথা উল্লেখেরও যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে বলে বিদগ্ধজনেরা মনে করেন। সুতরাং এ পর্যন্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, যথাযথ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, কলাকৌশল ও সমকালীন তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে খুব একটা প্রতিফলিত হয় না। নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এর কারণ রূপে বাজেট স্বল্পতার কথা ওঠে- ওঠে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘বাজার সংকটে’র কথাও। আরো নানা দৃশ্য-অদৃশ্য অন্তহীন সমস্যার প্রসঙ্গও তারা উত্থাপন করেন। তাদের ভাষায় ‘স্বল্প বাজেট’, ‘ক্ষুদ্র বাজার’ এবং ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে একটি সংকট বটে- কিন্তু মানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের গ্যারান্টি আমাদের কে দেবে?
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রতি প্রত্যাশা অনেক বলেই এ পর্যন্ত প্রতিপাদ্য বক্তব্যে হয়তো নৈরাশ্যের চিত্রই বেশি ফুটে উঠেছে। তবে আশার দীপ একেবারেই নিভে যায়নি সে প্রসঙ্গও আমাদের অনুভূত হয়। বিলম্বে হলেও সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে আমরা তার ইঙ্গিত পাচ্ছি। সরকার ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্রকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ঘোষণা অনুযায়ী ঋণসুবিধা প্রদান এবং বিদ্যুৎ বিল গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্স নির্মাতাদের ৫ বছরের কর রেয়াদ সুবিধাও কয়েক বছরের বাজেটে দেখানো হয়েছে। কয়েক বছর ধরে ‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট’ তার কার্যক্রম শুরু করেছে। অপরদিকে, বেসরকারিভাবে ‘ইমপ্রেস’ এবং ‘বেঙ্গল গ্যালারি’ নতুন নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চার শতাধিক সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। সরকারি ও বেসরকারি বর্ণিত এসব উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বিদ্যমান চলচ্চিত্র সংকট লাঘবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। গৃহীত এসব উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আমরা। এ ছাড়াও চলচ্চিত্র শিল্পে বর্ণিত এসব সংকট ও চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তোরণে আমরা একটি প্রস্তবনাপত্রের সুপারিশ নিম্নরূপে উপস্থাপন করা যেতে পারে :
১. ছবি বানানোর আগে গল্প বাছাইয়ে যুগ ও সমকালীন রুচিকে প্রাধান্য দিতে হবে। চিত্রনাট্য রচনায় মেধা, শ্রম এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে।
২. প্রচলিত অভিনয়-ধারা ও রূপ-রীতি কিংবা প্রকাশ-ভঙ্গি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অভিনয়ে সমকালীন নৃ-তাত্ত্বিক আচরণের ছাপ স্পষ্ট করতে হবে।
৩. সুবিধাজনক এবং উন্নত মানের ফিল্ম স্টক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
৪. স্টুডিও সুবিধা ও কারিগরিপ্রযুক্তির মান বৃদ্ধিসহ চলচ্চিত্রে তা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
৫. উন্নতমানের ক্যামেরা ব্যবহারসহ সর্বাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করে তোলার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
৬. পোস্ট প্রোডাকশনের কারিগরি ও প্রাযুক্তিক সুবিধা দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্টি করতে হবে।
৭. চলচ্চিত্রকে যদি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে শিল্প বলে বিবেচনা করা হয় তবে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের ন্যায় চলচ্চিত্র খাতে নির্মাতাদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
৮. চলচ্চিত্র যে একটি অত্যন্ত জটিল, কঠিন, ভারি ও ব্যয়বহুল শিল্প এমন ধারণা থেকে প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের সরে আসতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে বুঝতে সাহায্য করতে হবে যে, আজকাল ভিডিও ক্যামেরা এমনকি পেন-ক্যামেরার মাধ্যমেও ছবি নির্মাণ বহন এবং দ্রুত লাখ লাখ মানুষের কাছে প্রদর্শন সম্ভব।
৯. ৩৫ মি.মি. চলচ্চিত্রের বদ্ধমূল ধারণা থেকে নির্মাতাদের সরে আসতে হবে। একই সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের পর্যায়ক্রমে সিনেমা হলগুলোয় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রবর্তন করতে হবে।
১০. চ্যানেল বিনোদনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের যুগোপযোগী ও সৃজনশীল কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে।
১১. শিল্পী সংকট নিরসনের মাধ্যমে এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিনেতা-অভিনেত্রী সৃষ্টি করতে হবে। শ্রেণি নির্বিশেষে চলচ্চিত্রগুলোর অভিনয়ে শিল্পীদের বৈচিত্র্যের প্রমাণ রাখতে হবে।
১২. বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৩. বিভিন্ন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে তাদের আবাসন প্রকল্পে কমিউনিটি সেন্টারের পাশাপাশি ক্ষুদ্র আয়তনের হলেও একটি করে সিনেমা হল নির্মাণে উৎসাহিত করতে হবে।
১৪. ঐতিহ্যবাহী যেসব সিনেমা হল ভেঙে অত্যাধুনিক শপিং মল নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে অন্তত একটি করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণে মালিকদের প্রণোদিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহ সংকট দূর করার লক্ষ্যে প্রণোদনামূলক আর্থিক সহায়তা দানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় সিনেমা হলগুলো পুনর্জীবনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এরূপ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন রকমের আর্থিক প্রণোদনামূলক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিককালে সিনেমা হল সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে চলচ্চিত্র শিল্প-সংশ্লিষ্ট অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্প এক বিরাট হুমকির সম্মুখীন। সাদা চোখে মনে হয় তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষই চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের অন্তরায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পটি এখন প্রায় ‘জাদুঘরের সামগ্রী’তেই পরিণত হয়েছে! চলচ্চিত্রের ভালো-মন্দ’র দায় চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সব মহলকেই নিতে হবে। পূর্বে রাষ্ট্র চলচ্চিত্রের প্রতি উন্নাসিক থাকলেও তখন মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রয়াসটুকু অন্তত ছিল। অথচ বর্তমান সরকার নানারূপ প্রণোদনা প্রদানের পরও এই শিল্পটি ক্রমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে! এক অনিশ্চিত গন্তব্যে পথ চলতে শুরু করেছে। এখনই তাকে সুপথে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কেননা শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র মানুষেরই কথা বলে, মানুষের জন্যই চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়