পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

খেলার মাঠে মেলার আয়োজন বন্ধ করল প্রশাসন

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম। যে মাঠে অনুশীলন করে, খেলাধুলা করে হয়েছে নন্দিত ক্রিকেটার, ফুটবলার। সেই খেলার মাঠে মেলার আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে আউটার স্টেডিয়ামে ‘লিডিং ই কমার্স সোসাইটি, চট্টগ্রাম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান মেলার আয়োজন শুরু করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভূমি মো. রাজিব হোসেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দেন তারা। খুলে ফেলা হয় বাঁশ, ব্যানার ও তাবু।
চট্টগ্রামের খেলার মাঠে কোনো মেলা হবে না বলে গত ২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, খেলার মাঠগুলো উদ্ধার করা হবে। এছাড়াও তৈরি করা হবে নতুন মাঠ। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার অভিযানটি চালানো হয়। এ সময় ই-কমার্স সোসাইটির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা গত জানুয়ারি মাসে অনুমতি নিয়েছিলাম, সিজেকেএসকে জায়গা ব্যবহারের জন্য অগ্রিম ভাড়াও দিয়েছিলাম।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। তার ঘোষণার পর এখানে আর কোনো মেলার আয়োজন করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, লিডিং ই-কমার্স সোসাইটি যে পরিমাণ টাকা ভাড়া হিসেবে জমা দিয়েছিল, তা তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মেলাসহ সব প্রকার মেলা আয়োজনের জন্য আমরা শহরের অদূরে একটি জায়গা ঠিক করেছি। সেখানে সব মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে মেলা আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকরা নানা আলোচনা-সমালোচনা করে আসছিলেন। খেলার মাঠে মেলা আয়োজন করায় তরুণ-কিশোররা খেলাধূলা করা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। এতে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম। যে মাঠে অনুশীলন করে, খেলাধুলা করে হয়েছে নন্দিত ক্রিকেটার, ফুটবলার। সেই আউটার স্টেডিয়াম মাঠটিতে খেলার বা অনুশীলনের সুযোগ পায় না খেলোয়াড়-শিক্ষার্থীরা। বাণিজ্যমেলা, বস্ত্রমেলা, বৃক্ষমেলা, হস্ত-কুঠির শিল্পমেলাসহ বিভিন্ন ধরনের মেলা-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল মাঠটি। খেলার দলগুলোর অনুশীলন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। এটাকে শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্তরায় হিসেবে দেখেন ক্রীড়ামোদি ও অভিভাবকরা। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মেলা আয়োজনের জন্য স্থায়ী একটি ভেন্যুর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়