পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

খাজা-অশ্বিন ঝলকে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে আহমেদাবাদ টেস্ট

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উসমান খাজার ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মহাকাব্যিক ১৮০ রানের ইনিংস ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৯১ রানে ৬ উইকেট প্রাপ্তি এ টেস্টে বাড়তি দ্যোতনা সৃষ্টি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত। রোহিত শর্মা ১৭ আর শুভমান গিল ১৮ রানে অপরাজিত আছেন। আজ তৃতীয় দিনে ফের ব্যাট করবেন এ দুব্যাটার। এখনো ৪৪৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা।
অশ্বিন এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩২তমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের মাটিতে টেস্ট ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ড এখন তার। ২৬তমবার ৫ উইকেট নিয়ে টপকে গেলেন অনিল কুম্বলেকে (২৫)। আহমেদাবাদে ক্যারিয়ারের ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উসমান খাজ।
উসমান খাজার ম্যারাথন ইনিংস, ক্যামেরুন গ্রিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষদিকে নাথান লিয়ন আর টড মার্ফির প্রতিরোধগড়া জুটি। সবমিলিয়ে আহমেদাবাদ টেস্টে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আগের দিনই দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন উসমান খাজা আর ক্যামেরুন গ্রিন। ৪ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।
গতকাল দ্বিতীয় দিনেও প্রথম সেশনটা অনায়াসে কাটিয়ে দেন খাজা-গ্রিন। শেষ পর্যন্ত তাদের ২০৮ রানের বড় জুটিটি ভাঙেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া গ্রিন উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন ১১৪ করে। ১৭০ বলে গড়া তার ইনিংসটিতে ছিল ১৮টি বাউন্ডারির মার।
এরপর অ্যালেক্স ক্যারে (০) আর মিচেল স্টার্ককে (৬) দ্রুত ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চারশর আগে গুটিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন অশ্বিন। কিন্তু উসমান খাজা দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
অবশেষে খাজার ইনিংসটি থামে ১৮০ রানে। অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৪২২ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ২১টি বাউন্ডারি হাঁকান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। দলীয় ৪০৮ রানের মাথায় ফেরেন খাজা, ৮ উইকেট হারায় অসিরা। সেখান থেকে নাথান লিয়ন আর টড মার্ফির ৭০ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে আরো বড় সংগ্রহ এনে দেয়। মার্ফি ৪১ আর লিয়ন করেন ৩৪ রান। ১৬৭.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ৪৮০ রানে।
দুই দিন মিলিয়ে উসমান খাজার ১৮০ রানের ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়ার এই রানপাহাড়ের ভিত। ৬১১ মিনিট উইকেটে থেকে ৪২২ বল খেলেছেন খাজা, চার মেরেছেন ২১টি। অক্ষর প্যাটেলের বলে তৃতীয় সেশনের প্রথম বলে যখন আউট হলেন অস্ট্রেলিয়া চারশ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ভারতের ভোগান্তি তবু দ্রুত শেষ হয়নি। নবম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার দুই বোলার নাথান লায়ন ও টপ মার্ফি মিলে ১১৭ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষা বাড়িয়ে দেন। লায়নের ৯৬ বলে ৩৪ ও মার্ফির ৬১ বলে ৪১ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার খুব কাজে লেগেছে। তবু অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে দিনটা খাজা ও গ্রিনের। ভারতের মাটিতে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড এখন খাজার। ১৯৭৯ সালে ইডেন গার্ডেনে গ্রাহাম ইয়ালপের ৩৯২ বল খেলার রেকর্ড ভাঙলেন খাজা। সে বছরই চেন্নাই টেস্টে ২২২ রানের জুটি গড়েছিলেন অ্যালান বোর্ডার ও কিম হিউজ। তারপর গত ৪৪ বছরের মধ্যে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের জুটিটি গতকাল খাজা-গ্রিনের, ২০৮ রান করেছেন ৩৫৮ বলে।
১৭০ বলে ১১৪ রান করে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া গ্রিন অস্ট্রেলিয়ার আগামী দিনের ব্যাটিংয়ে বড় তারকা হয়ে ওঠারই প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। এশিয়ায় তার পারফরম্যান্স ‘অতিমানবীয়’ হয়ে উঠছে। পাকিস্তানে ব্যাটিং গড় ৫১.৬৬। শ্রীলঙ্কায় হয়েছেন ম্যাচসেরা আর ভারতে সেঞ্চুরি। ভারতের মাটিতে চলমান টেস্ট সিরিজের পিচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবশ্য পিচ নিয়ে সেই সমালোচনা অমূলক ছিল না। কারণ তিনটি টেস্টই শেষ হয়ে যায় তিন দিনেই। তৃতীয় ম্যাচে তো আড়াই দিনেই ফল চলে আসে। সেখানে প্রথম জয়ের দেখা পায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। এরপর আইসিসির শাস্তির আওতায় আনা হয় ইন্দোরের পিচকে। দেয়া হয় ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট। যার কারণেই কিনা চতুর্থ টেস্টে এসে পিচই বদল করে ফেলেছে ভারত। আহমেদাবাদ টেস্টে দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে চারশর অধিক রান পাহাড় গড়ছে অস্ট্রেলিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়