পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

কী লিখলেন নওয়াজ!

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কয়েক সপ্তাহ ধরে নওয়াজুদ্দিন ও স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির মধ্যে চলছে ব্যাপক ঝামেলা। এতদিন চুপ থাকলেও গত ৬ মার্চ এ নিয়ে দিলেন লম্বা বিবৃতি। এর আগে নওয়াজুদ্দিনের নামে আইনি অভিযোগ এনেছেন আলিয়া। একাধিক ভিডিও ভাইরাল অনলাইনে দেখা যাচ্ছে মেয়ে-বউকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তিনি। শুধু নওয়াজ নন, তার মায়ের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আলিয়া। এতদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে টুঁ শব্দটি করেননি নওয়াজ। অবশেষে অভিযোগের জবাব দিলেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিবৃতির মাধ্যমে। নওয়াজ লিখেছেন-
প্রথমত আমি এবং আলিয়া কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে থাকি না, ইতোমধ্যেই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তবে আমরা এতদিন কেবল আমাদের বাচ্চাদের জন্যই বোঝাপড়া করছিলাম। কেউ কি জানেন, কেন আমার বাচ্চারা ভারতে আছে এবং ৪৫ দিন ধরে স্কুল যাচ্ছে না। যেখানে স্কুল আমাকে প্রতিদিন চিঠি পাঠাচ্ছে যে, তাদের অনুপস্থিতির অনেক দিন হয়ে গেছে। আমার বাচ্চাদের ৪৫ দিন ধরে বন্দি করা হয়েছে এবং দুবাইতে তাদের স্কুলের পড়া মিস করছে।
সর্বশেষে কিন্তু সর্বনি¤œ নয়, এই গ্রহের কোনো অভিভাবক কখনই চাইবেন না যে, তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনায় বাধা পড়ুক বা তাদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হোক। তারা সর্বদা চেষ্টা করেন সেরাটা বাচ্চাদের দিতে। আমি আজ যা উপার্জন করছি তার সবই আমার উভয় বাচ্চার জন্য এবং কোনো ব্যক্তিই এটি পরিবর্তন করতে পারে না। আমি শোরা এবং ইয়ানকে ভালোবাসি এবং তাদের মঙ্গল ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যাব। আমি এখন পর্যন্ত সমস্ত মামলা জিতেছি এবং আমার বিশ্বাস অব্যাহত রাখব বিচার বিভাগের ওপর। ভালোবাসা মানে কাউকে আটকে রাখা নয়, একজনকে সঠিক পথে উড়তে দেয়া।
ইনস্টাগ্রামে তিন পৃষ্ঠার এই দীর্ঘ বিবৃতিতে নওয়াজ যেসব অভিযোগ এনেছেন আলিয়ার ওপর-
আলিয়া শেষ চার মাস দুবাইতে বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিয়েছিলেন মুম্বাইতে আনার আগে। দুবছর ধরে মাসে ১০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে আলিয়াকে। দুবাই যাওয়ার আগে দিতেন ৫-৭ লাখ। এই টাকার বাইরে বাচ্চাদের স্কুলের বেতন, চিকিৎসার খরচ, যাতায়াতের খরচ ছিল কম নয়। নওয়াজ জানান, স্ত্রী আলিয়ার প্রযোজনায় শেষ তিনটি ছবিতে টাকাও ঢেলেছেন তিনি, কারণ তিনি তার সন্তানদের মা। বাচ্চাদের বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন নওয়াজ, যা বিক্রি করে খরচ করেন আলিয়া নিজের দরকারে। মুম্বাই ভারসোভাতে বাচ্চাদের জন্য একটি সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছেন নওয়াজ, যেখানে আলিয়া নিজেও থাকেন। নওয়াজ আরো দাবি করেন, আলিয়া শুধু টাকা চান। তাই এভাবে একের পর এক মামলা করে চলেছেন। আগের বরের নামেও এমনটা করেছিলেন। তারপর মনমতো টাকা মিলতেই সব মামলা সুরাহা করে দেন আলিয়া!

:;মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়