পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জেলের বাইরে

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জেলের বাইরে আছেন, তার দণ্ড শেষ হয়নি। তার রাজনীতি ও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আদালতের ওপর নির্ভর করে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সুবর্ণজয়ন্তী ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এদিন সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রীরা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমরা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাই। খালেদা জিয়া নির্দোষ। তিনি মুক্তি পাওয়ার পর বিদেশে নাকি দেশে চিকিৎসা করবেন, এটা একান্ত তার নিজস্ব ব্যাপার। এখানে আগ বাড়িয়ে আইনমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেন, তা জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাঁয়তারা ছাড়া কিছু নয়।
গয়েশ্বর রায়ের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপরের কথাগুলো বলেন সেতুমন্ত্রী। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের গণআন্দোলনে ভাটা পড়েছে, নেতাকর্মী দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। তাই আবোল-তাবোল বকছেন। জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
অ্যালামনাইয়ে কেন মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করতে হবে : সব জায়গায় রাজনীতি করাটা উচিত মনে করেন না সেতুমন্ত্রী। তার কথা, অ্যালামনাইয়ে মন্ত্রীকে এনেই প্রধান অতিথি করতে হবে কেন? এ ধরনের বিষয়ের সঙ্গে আমি মোটেও একমত না। তিনি বলেন, বক্তৃতায় কাউকে ৫ মিনিট সময় দিলে পুরো সময়টাই চলে যায় বিশেষণে। তাহলে বক্তৃতা করা হবে কীভাবে? তিনি কে ছিলেন, কী আছেন, ভবিষ্যতে কী হবেন, এসব কথা বলে শুধু তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এসব কথা বাদ দিয়ে অ্যালামনাই করতে চাইলে এটাকে অরাজনৈতিক করতে হবে। সব জায়গায় রাজনীতি করতে চাই না। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানই হতে হবে? সেটা তো অ্যালামনাইয়ের চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত না। এখানে বিভিন্ন দলের লোক আছে। কিন্তু এক দল দিয়ে অ্যালামনাই করাটা চলবে না। এই একটা জায়গা অরাজনৈতিক রাখা উচিত। এখানে প্রধান অতিথি বা মন্ত্রীর দরকার নেই। সবাই এখানে অতিথি। মন্ত্রী আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবে। এখানে সবার একই স্ট্যাটাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক আসন না। এখানে আমি মুহসীন হলের সাবেক আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসব। এখানে আমরা সবাই সাবেক। আমরা আড্ডা দেব, একসঙ্গে খাব, পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করব, হাসিখুশিতে সময়টা কাটাব। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো করা ভুলের পুনরাবৃত্তিটা যেন ভবিষ্যতে না হয়, সেটা স্মরণ করিয়ে দিতে দাঁড়িয়েছি। আমি প্রধান অতিথি হিসেবে কিছু বলছি না। শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় করছি। সেই সঙ্গে সবার অনেক অনেক শুভ কামনা করি।
অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়